সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রোমাঞ্চকর ম্যাচে লিভারপুলকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতল ক্রিস্টাল প্যালেস নদী ভাঙ্গনে গৃহহীন মাজেদা বেগমের পাশে বিএনপি নেতা আসিফ সিরাজ রব্বানী রড বোঝাই ট্রাক লুট, নোয়াখালীতে যুবদল কর্মিসহ গ্রেপ্তার-২ “পার্বত্য চট্টগ্রামে বাজার ফান্ডের ঋণ-বন্দোবস্তিপ্রক্রিয়া চালু না করলে আন্দোলনের হুশিয়ারি” মনিরামপুরে যুবলীগ নেতাসহ তিনজন আটক নওগাঁর পত্নীতলায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত  শার্শার সীমান্তে ভারতীয় ইছামতি নদীর পানিতে শত শত একর জমির ফসল, মাছের ঘের, পুকুর ভেষে ছয়লাব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক মঙ্গলবার  নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অতিথি সেবার যে অনন্য ফজিলত

রাশিয়া ও চীন থেকে ভারতকে দূরে রাখতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৯ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার কারণে ‘জরিমানা’ হিসেবে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে পাল্টা শুল্কসহ ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন দাবি করছেন, এই কূটনৈতিক পরিকল্পনায় ধাক্কা খাবে আমেরিকা।

বোল্টনের দাবি, ভারতকে রুশ-চীনা প্রভাব থেকে দূরে রাখার দীর্ঘ প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে বসেছে।  বোল্টন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের একটি বড় কূটনৈতিক কৌশল ছিল ভারতকে রাশিয়া ও চীনের প্রভাব থেকে দূরে রাখা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে ঠান্ডা যুদ্ধ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পর্যন্ত এই নীতি ধারাবাহিকভাবে চলেছে। বো্ল্টনের মতে, বহু বছর ধরে মার্কিন প্রশাসন এতে যথেষ্ট সফলও হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কনীতি, বিশেষ করে শুল্কযুদ্ধ, সেই সাফল্যের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বোল্টন বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন তৈরি করে ট্রাম্প এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, যাতে ভারত আবার রাশিয়া ও চীনের দিকে ঝুঁকতে পারে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই নীতি শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ, ভারত বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান শক্তি এবং আমেরিকার ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ কৌশলে মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ভারতকে নিয়ে এই দূরত্ব বাড়তে থাকে, তবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, এমনকি কোয়াডের কার্যক্রমও প্রভাবিত হতে পারে। ভারতীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনার গতি কমেছে এবং কিছু প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়নেও ধীরগতি এসেছে। যদিও ভারত সরকার প্রকাশ্যে এসব আশঙ্কা অস্বীকার করছে।

এদিকে, ট্রাম্প- পুতিন বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পুতিনের আলাদা আলোচনাও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কাড়ছে। চীনও এই সময়টাকে কৌশলগতভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে—আগামী দিনে মোদি শেষ পর্যন্ত কার দিকে হাত বাড়াবেন? আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখবেন, নাকি রাশিয়া-চীন জোটের দিকে আংশিক ঝুঁকবেন?

বোলটনের এই মন্তব্য শুধু আমেরিকার রাজনীতিতে নয়, বিশ্ব কূটনীতিতেও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ, ভারত–আমেরিকা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ শুধু দুই দেশের জন্য নয়, গোটা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপরও প্রভাব ফেলবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১০ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৪:৩০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

August 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit