ডেস্ক নিউজ : প্রতি বছর ধান কাটা শেষে নেত্রকোনা সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ কিশোরগঞ্জের সৌখিন কৃষক ও গ্রামের তরুণরা আশপাশের গ্রামগুলোতে আয়োজন করা হয় নৌকাবাইচের। জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, খালিয়াজুড়ি, ইটানা আজমেরিগঞ্জ হবিগঞ্জ নেত্রকোনা ইটনা মিঠামইন থেকে বিশাল হাওড় পাড়ি দিয়ে আসে শাম্যারচর। বীরপবন, সোনার তরী, কালুশা, মাইজভাণ্ডারি, জলপদ্ম, উড়াল পঙ্খি ময়ুরপঙ্খি, দিলারাম, হাছনের নৌকা, দিলরাজসহ কুড়িটি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
প্রতিটি নৌকা ৪০ জন মাল্লা ও একজন খাড়ালি থাকে। মরা সুরমার ৫ কিলোমিটারজুড়ে নৌকাবাইচ দেখার জন্য লাখো মানুষর আগমন ঘটে। এলংজুড়ি গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন অঞ্জলি রানী রায়। তিনি বলেন, ‘ আগে এ নদীতে আনন্দ উৎসব করে নৌকাবাইচ হতো। আশপাশের গ্রামে ধান কাটা শেষে বর্ষার পানি এলে গ্রামে গ্রামে নৌকাবাইচের প্রতিযোগিতা হতো। কিন্তু আজ ৬০/৭০ বছর পর নৌকাবাইচের এ আয়োজনের মাধ্যমে শতবছরের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’
এ নৌকাবাইচের আয়োজন করেছেন সুপ্রিম কোটের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মুনির। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বাইচ শুরুর আগ পর্যন্ত দিরাই, শাল্লা, খালিয়া, জুড়ি, মদন, আজমিরীগঞ্জ, জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জসহ সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার ১৫ টি উপজেলার মানুষ নৌকা নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শিশির মনির বলেন, ‘আমি ভাটি বাংলার সন্তান। হাওড়ের কাদাজল আমার গায়ে লেগে আছে। দিরাই শাল্লার মানুষ আমার পরম আত্মীয়। আমি এ এলাকার মাটি মানুষের কাছে ঋণি। পৃথিবীর যে প্রান্তে থাকি না কেন, শেকড়ের টানে আমি বার বার এখানে আসি। সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেয়ে ভাটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ হারিয়ে যাচ্ছে।’
কিউএনবি/আয়শা/৯ আগস্ট ২০২৫/রাত ৮:০৬