সেখানেই ঘটে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। আরসিবির সোশ্যাল মিডিয়ায় প্যারেডের কথা জেনে, স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হন প্রায় দুই লাখের বেশি সমর্থক। অতিরিক্ত মানুষের চাপ সামাল দিতে পারেনি বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ। পরিণামে স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে মারা যান ১১ জন, আহত হন অনেকে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরসিবির মার্কেটিং আফিসারকে। পদত্যাগ করেন কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক কর্মকর্তা। বহিষ্কার করা হয় কর্ণাটক রাজ্য পুলিশের এসপিকেও।
শুরুতে এ ঘটানার দায় অস্বীকার করলেও পরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভবিষ্যতে যেনো এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে এই কমিটি। সেই সঙ্গে আইপিএলের শিরোপা উদযাপনে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে বিসিসিআই।
নতুন নিয়মে বিশৃঙ্খলা এড়াতে শিরোপা জয়ের ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কোনো প্রকার উদযাপন করতে পারবে না চ্যাম্পিয়ন দল। যেকোনো ইভেন্ট আয়োজন করতে হলে আগে থেকেই নিতে হবে বিসিসিআইয়ের অনুমতি। উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হলে নিতে হবে বোর্ডের লিখিত অনুমোদন।
শিরোপা উদযাপনের দিন রাখতে হবে ৪ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর ভেন্যুতে যাতায়াতের মাল্টিলেয়ার পথ ছাড়াও নিরাপত্তা টিম রাখতে হবে আয়োজকদের। খেলোয়াড়, স্টাফ ও দলের অন্যন্য কর্মকর্তাদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, যেকোনো ইভেন্ট আয়োজন করতে হলে জেলা পুলিশ, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে নিতে হবে লিখিত অনুমোদন। সিটি কর্পোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র ছাড়া কোনো উদযাপন করতে পারবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া জানান, বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকির বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে জানান সাইকিয়া।