 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    ডেস্ক নিউজ : মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অতীব ক্ষমাশীল আর তিনি তার বান্দাকে বারবার ক্ষমা করেন। তিনি তার বান্দার দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখতে চান, তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে সাথে সাথেই শাস্তি দিতে পারেন কিন্তু তিনি তা করেন না, আবার অনেক ক্ষেত্রে করেনও।
হাদিসে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ‘ইস্তেগফার’-এর সাথে আঁকড়ে থাকে (অর্থাৎ ইস্তেগফারে সর্বদা নিয়োজিত থাকে) আল্লাহতায়ালা তাকে সর্ব প্রকার বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধারের পথ সৃষ্টি করে দেন আর প্রত্যেক দুরবস্থা থেকে উত্তরণের রাস্তা বের করে দেন আর তাকে ঐ সমস্ত রাস্তায় রিজিক (জীবিকা) দান করেন যা সে ধারণাও করতে পারে না’ (সুনান আবি দাউদ, কিতাবুল বিতর, বাব ফিল ইস্তেগফার)।
মুমিন একই ভুল বার বার করেন না। আমাদেরকে এমনভাবে ইস্তেগফার করতে হবে যেন আমার দ্বারা এমন ভুল দ্বিতীয়বার আর কখনও সংঘটিত না হয়। এছাড়া সর্বদা মহান আল্লাহতায়ালার কাছে আমাদেরকে এই প্রার্থনাই করতে হবে যেভাবে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন,
রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম-তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাসেরিন’ অর্থাৎ ‘হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক! নিশ্চয় আমরা নিজেদের প্রাণের ওপর জুলুম করেছি আর তুমি আমাদের ক্ষমা না করলে এবং আমাদের ওপর কৃপা না করলে আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব (সুরা আরাফ, আয়াত: ২৩)।
আমরা যেন সর্বদা মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও তওবা করতে থাকি এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আবার আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, ‘ওয়া আনেসতাগফিরু রাব্বাকুম সুম্মা তুবু ইলাইহে’ অর্থাৎ ‘তোমরা তোমাদের প্রভু-প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাইবে, তার কাছে সবিনয়ে তওবা করবে’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৩)।
মহানবি (সা.) বলেন, কেউ নিয়মিত ইস্তেগফার করলে আল্লাহতায়ালা তাকে সব বিপদ থেকে মুক্তি দেবেন, সকল দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। (আবু দাউদ)
হাদিসে আরো এসেছে, হজরত নুমান বিন বশীর (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবি হজরত মুহুম্মদ (সা.) মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বল্পে তুষ্ট হয় না সে অধিক পেলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। আর যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে না সে আল্লাহতায়ালার করুণারাজিরও কৃতজ্ঞতা আদায় করতে পারে না। আল্লাহতায়ালার অনুগ্রহরাজির উত্তম স্বীকারোক্তি প্রকাশ করাটাও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন। আর আল্লাহতায়ালার আশিস সমূহের উত্তম স্বীকারোক্তি প্রকাশ না করাটা অকৃতজ্ঞতা’ (মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল)।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সব সমস্যা দূর করে দিন আর আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন, আমিন।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ মে ২০২৫, /রাত ১০:২৩