 
																
								
                                    
									
                                 
							
							 
                    এম এ রহিম চৌগাছা ( যশোর) : যশোরের চৌগাছায় হালকা বাতাস বইলেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন নিত্যদিনের নিয়মে পরিণত হয়েছে। সামান্য দমকা হাওয়া শুরু হলেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও রোগীরা পর্যন্ত। সকাল থেকে অফিসমুখী ব্যস্ততা আর রাতে গুমোট গরমে ঘুমানোর চেষ্টা, সবকিছুতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সামান্য বাতাস বইলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, আর ফের আসতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনজীবন, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও ব্যবসা-বাণিজ্য। চৌগাছা শহরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “এ গরমে টিকে থাকাই কঠিন। তার ওপর একটু বাতাস বইলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
কখন আসবে তারও নিশ্চয়তা নেই। দিনের পর দিন ভোগান্তি বাড়লেও কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।” নিরিবিলি সেলুনের মালিক রিপন দাস জানান, “দুই মেয়ে নিয়ে সংসার চালাই। দোকানটাই একমাত্র ভরসা। অথচ বিদ্যুৎ না থাকলে কাজ করতে পারি না। আর কাজ না করলে খাব কী?” বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর চৌগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী আরিফুল কবীর মোহাম্মদ শোয়ায়েব বলেন, “গত রবিবার (২৬ এপ্রিল) খুলনা ও বরিশালসহ মোট তিনটি বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ফল্ট ঘটে। ফলে সাময়িকভাবে বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। তবে ইতোমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হচ্ছে। খুব দ্রুত পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
” তিনি আরও বলেন, “গরমের সময়ে কিছু লোডশেডিং স্বাভাবিক। তবে পূর্বের তুলনায় এবার লোডশেডিং অনেকটাই কম হবে বলে আমরা আশাবাদী।” তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, শুধু আশ্বাসে আর ক্ষান্ত হওয়া যাবে না, প্রয়োজন দ্রুত ও টেকসই সমাধান। সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে সামান্য বাতাসেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া অগ্রহণযোগ্য। তারা সতর্ক করেছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে চৌগাছার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কিউএনবি/অনিমা/২৮ এপ্রিল ২০২৫,/সকাল ৬:৪৭