সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি ভিডিও পোস্টকে কেন্দ্র করে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী মামুন মিয়া। ফেসবুক পোস্টের ভিডিওতে দেখা যায় অফিস সহকারী মামুন মিয়া ষাটোর্ধ বয়স্ক এক ব্যক্তির দেয়া সামান্য কিছু টাকা গুনে অফিসের ড্রয়ারে রাখেন।
ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে চাইলে মামুন মিয়া বলেন, পোস্ট হওয়া ভিডিওটি আনুমানিক তিন থেকে চার বছর আগের সে-সময় টেক্স বা খাজনা দেওয়ার বিষয়টি অনলাইন পদ্ধতিতে যুক্ত ছিলো না। ভিডিওতে যে ব্যক্তি আমার হাতে টাকা দিচ্ছিলেন তিনি ষাটোর্ধ স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ মানুষ ঠিক মতো টাকা দেখে গুনতে পারছিলেন না। তার থেকে আমি সরকারি ফী গুনে নিয়ে অফিসের ড্রয়ের রাখি অনৈতিক কিছু হলে তো আমার পকেটে ডুকিয়ে রাখতাম।
মামুন মিয়া আরো বলেন, হয়তো কেউ এই অফিস থেকে অনৈতিক সুবিধা পাননি এটা তাদেরই কাজ। ভিডিওটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে করে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছে আমাকে হেনস্তা বা ভূমি অফিসের বদনাম করার জন্য । তিনি বলেন বৃদ্ধ তাহের আলী এখনো জীবিত আছেন তার কাছ থেকেও জেনে দেখুন আসল ঘটনা কি ।
ভূমি অফিস সহকারী মামুন মিয়া সম্পর্কে স্থানীয় মানুষদের কাছে জানতে চাইলে তার আচার-আচরণ ও নৈতিকতা নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভূমি অফিসে আসা বাগেশ্বর গ্রামের খোকন মিয়া বলেন মামুন ভাই ভালো মানুষ। ভিডিও দেখে এটা বুজাই যায় এটি বেশ পুরনো বর্তমান অফিস ডেকোরেশন ভিন্ন এটি তাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এভাবে ভালো মানুষকে হয়রানি করা ঠিক না।
ভিডিওতে দেখানো পাইকারদী গ্রামের মৃত ছমিরউদ্দিন এর ছেলে তাহের আলী (৬৫) জানান, নায়েব সাহেবের অনুপস্থিতিতে আমি মামুন ভাইয়ের নিকট খাজনার টাকা পরিশোধ করি। তিনি আরো বলেন এই ভিডিও যে ব্যক্তি তুলে তাঁকে হেনস্তা করছে তার বিচার করা প্রয়োজন।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ মার্চ ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৪৫