রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন

২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার দাবি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
  • ১৯৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : দেশের সব অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিকদের একই শ্রম আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে শ্রমিকনেতারা আগামী ২০ রমজানের মধ্যে তাদের বেতন-বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘আইএলও রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি: ট্রেড ইউনিয়নের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শ্রমিকনেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইটিইউসি বাংলাদেশ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল সাকিল আখতার চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য দেন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের জেনারেল সেক্রেটারি শহিদুল্লাহ বাদল।

সংবাদ সম্মেলনে ঈদের সময় শ্রম অসন্তোষের আশঙ্কা রয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুল্লাহ বাদল জানান, ঈদকে সামনে রেখে গত সপ্তাহে শ্রম মন্ত্রণালয়ে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় সভা হয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ আগামী ২০ রোজার মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দেয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছে।

শহিদুল্লাহ বাদল আরও বলেন, যদি সঠিক সময়ে বেতন-বোনাস দেয়া হয়, তাহলে একটি জায়গাতেও শ্রম অসন্তোষ হবে না। আর ঠিক সময়ে বেতন-বোনাস না পেলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হতেই পারেন। সেক্ষেত্রে এর দায়দায়িত্ব সরকার ও কারখানার মালিকদের নিতে হবে।

আইটিইউসি বাংলাদেশ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল সাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাসে বেশ কিছু জায়গায় আমরা শ্রম অসন্তোষ দেখেছি। দেখা গেছে, সব ক্ষেত্রেই ঠিকভাবে মজুরি না পাওয়ায় শ্রমিকেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আবার এক জায়গায় অসন্তোষ হলে সেটি ছড়িয়ে যায় তাৎক্ষনিক। সুতরাং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়ে দেয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, যেসব কারখানা আর্থিকভাবে দুর্বল রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেতন–বোনাস কীভাবে দেয়া হবে, সেই দায়দায়িত্ব বিজিএমইএ বা বিকেএমইএর মতো সংগঠন তথা মালিকপক্ষকে নিতে হবে। আর ঈদের আগে হঠাৎ কোনো কারখানা বন্ধ করা যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার ওপর জোর দিচ্ছে, আমরাও সেটি চাই। এজন্য শ্রম আইনের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল বা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের মতো বিশেষ অঞ্চলগুলোতে আলাদা শ্রম আইন রয়েছে। আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সব শ্রমিককে একই শ্রম আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সার্বিক পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে বিবেচনার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছে শ্রমিক সংগঠন তিনটি।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে—শ্রমিক সংজ্ঞা বিস্তৃত করতে হবে, যাতে শ্রম আইন সুরক্ষা সব শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য হয়; সব শ্রমিকের জন্য পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করতে হবে; সরকারি–বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান ২৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে; শ্রম বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সীমিত করে ট্রেড ইউনিয়নের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে; ধারা ২৬ এবং ধারা ২৭(৩)(এ) বাতিল করতে হবে, যা শ্রমিকনেতাদের অন্যায্যভাবে বরখাস্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়; জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও সব খাতে মজুরি কমিশন গঠন করতে হবে; শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আগে তাদের আইনগত পরামর্শদাতা নিয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রমিকনেতাদের নামে করা হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি) বাংলাদেশ কাউন্সিল, ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল ও পিএসআই-এনসিসি ফর বাংলাদেশ।

আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলে পিএসআই- এনসিসি ফর বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সিনিয়র সহ সভাপতি সৈয়দা আজিজুন্নাহার প্রমুখ।

কিউএনবি/অনিমা/১৬ মার্চ ২০২৫,/রাত ৮:৪২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit