স্পোর্টস ডেস্ক : ফ্রি-কিক শুনলেই প্রথম যে নামটা মাথায় আসে, তা কি লিওনেল মেসি? নাকি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো? ভুল! আসল উত্তর একটাই—জুনিনিও পেরনামবুকানো।
জুনিনিও মূলত একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ছিলেন। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারদের মতো তারও পায়ের কারুকাজ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে সেটা কারুকাজ থেকে জাদুবিদ্যায় রূপ নিত তিনি ফ্রি কিক নিতে গেলে। লিওঁর হয়ে করা তার ১০০ গোলের মধ্যে ৪৪টিই এসেছিল সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে! শুধু লিওঁ নয়, বিভিন্ন ক্লাবে খেলে মোট ৭৭টি ফ্রি-কিক গোল করেছেন তিনি।
এটা কতটা অসাধারণ, সেটা বোঝার জন্য একটু তুলনা করা যাক। শেষ দশ বছরে এত্তো এতো ফ্রি কিক গোল করা লিওনেল মেসির সর্বমোট ফ্রি-কিক গোল এখন ৬৬টি। আর রোনালদো তো একটা সময় ফ্রি কিক বিশেষজ্ঞই বনে গিয়েছিলেন। তার ফ্রি কিকও জুনিনিওর তুলনায় নেহায়েত কম, ৬৪টি। ভাবুন একবার, মেসি-রোনালদো আজও সেই রেকর্ডের ধারেকাছেও যেতে পারেননি! এমনকি, ফ্রি-কিকের জাদুকর বলে পরিচিত বেকহ্যাম, রোনালদিনহো বা কিংবদন্তি পেলেও পারেননি!
জুনিনিওর ফ্রি-কিক শুধু সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে। বলের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ, বাতাসের গতি ব্যবহার করে বাঁক নেওয়ার দক্ষতা, এবং দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় শট নেওয়ার ক্ষমতা—সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন একেবারে অনন্য। আধুনিক ফুটবলে ‘নাকলবল’ ফ্রি-কিকের জনকও বলা হয় তাকে।
তবে জুনিনিও শুধু ফ্রি-কিক স্পেশালিস্টই ছিলেন না, বরং অসাধারণ প্লেমেকারও ছিলেন। ৪৬৬টি ম্যাচ খেলে ১০২টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। মোট ২২০টি গোল বা অ্যাসিস্টে তার সরাসরি অবদান ছিল। তবু আজ যখন কেউ নিখুঁত ফ্রি-কিকের কথা বলে, জুনিনিওর নাম প্রথম সারিতেই আসে। মেসি রোনালদোরা এত ধারাবাহিক থাকার পরও তাকে ছুঁতে পারেননি। ফ্রি কিক রেকর্ডটাকে এতটাই উঁচুতে নিয়ে বেধেছেন তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/৩০ জানুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৪:০০