বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন

‘চালের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে এটা সাময়িক’

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪১ Time View

ডেস্ক নিউজ : চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে এটা সাময়িক বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাটের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের প্রস্তুতি কেমন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘রমজানের নিয়ে আমরা সামগ্রিকভাবেই প্রস্তুত। এই মুহূর্তে চালের বাজার নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা আমদানি উদারীকরণ করেছি। চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ৬৩ শতাংশ শুল্ক ছিল,‌ সেটা আমরা ৩ শতাংশ নামিয়ে এনেছি। এই মুহূর্তে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েক লাখ টন চাল সরাসরি আমদানি হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে হচ্ছে, ভারত থেকে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এপ্রিল নাগাদ বোরো ধান আসবে। আমরা আশা করি যে, এখন থেকে এপ্রিল অর্থাৎ আগামী তিন মাস বাজারে যে একটা সাময়িক অবস্থা তৈরি হয়েছে, আশা করি ইনশাআল্লাহ সেটা ঠিক হয়ে যাবে। আমার জানামতে অন্য কোনো পণ্যে তেমন অসংগতি নেই বলেন উপদেষ্টা।

এখন আমনের ভরা মৌসুম কিন্তু চালের দাম বেড়ে গেছে আগে শুনতাম সিন্ডিকেট, এখন আগের জায়গায় নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে কিনা। আপনারা কতখানি বাজার মনিটরিং করবেন- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সাংবাদিক হিসেবে যদি আমাদের (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে দেন, তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। আমাদের জানামতে গত বন্যা, বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে হয়তো বা (চালের দাম বেড়েছে)… আমাদের নিজস্ব তথ্য-উপাত্ত বলছে আমাদের চালের কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের সরকারি মজুতে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরেও প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে আমরা যে ব্যত্যয়টা চালের বাজারে দেখছি, সেটাকে হ্যান্ডেল করার জন্য আমদানিকে আরও বেশি উদার করেছি।

আমরা আশা করি আমদানি শুরু হলে যদি কেউ মজুত করে থাকে অন্যায্যভাবে, এ মজুতটা তারা ছাড়তে বাধ্য হবে এবং বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।

এ সময় তো বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে- দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিশ্চিতভাবেই হচ্ছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। আমার কাছে মনে হচ্ছে সময়টা সাময়িক। কোনো আলাদিনের চেরাগ নেই যে, সেটাতে সুইচ দিলে আগামী কালকে বাজার ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, টিসিবি দিয়ে যে চাল বিক্রি করা হয়, সেটি আমরা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করছি। আমরা বাজারে চালের সরবরাহ বাড়িয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারকে (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি) কম দামে চাল দেওয়া হয়, সেটা শুরু হচ্ছে। টিসিবির স্মার্ট কার্ডধারী ৬৩ লাখ পরিবারকে এ সপ্তাহ থেকেই টিসিবি চাল দেওয়া শুরু করবে।

এক কোটি বলা হলেও ৬৩ লাখ পরিবারকে কেন স্মার্ট কার্ডের আওতায় পণ্য দেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি কার্ডের মধ্যে প্রচুর দুর্নীতি ছিল। একই পরিবারে একাধিক কার্ড ছিল। এনআইডি ব্যবহার করে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে এই কাজটা করেছে। এক কোটির মধ্যে যে ৩৭ কোটি কার্ড নেই, এর মধ্যে একজনও বাদ পড়েনি। যারা ছিল, যারা সঠিক প্রাপক, তাদের কাছেই পণ্য পাঠানো হচ্ছে। যারা বেঠিক ছিল, ডুপ্লিকেশন ছিল তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সংখ্যা একটিও বা কাউকে কমানো হয়নি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা আরও ৩৭ লাখ কার্ড বাড়াতে চাই। ক্রয় এবং বিপণনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে যদি এটা এক কোটি থেকেও বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় আমরা সেটাও করব।

কিউএনবি/অনিমা/০৯ জানুয়ারী ২০২৫,/দুপুর ২:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit