মাইদুল ইসলাম মুকুল ভূরুঙ্গামারী ( কুড়িগ্রাম ) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাঈদুর রহমান এর বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও সীমাহীন দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত আগস্ট/২৪ মাসে উক্ত মাদ্রাসার অফিস সহকারি সফিয়ার রহমানকে বিধি বহির্ভুতভাবে এবতেদায়ী জুনিয়র শিক্ষক পদে এমপিও ভূক্ত করেন সুপার। অথচ অফিস সহকারী পদে ২০০২ সাল থেকে চাকরি করছেন সফিয়ার যার ইনডেক্স নং- ২৬৯২৩৩২।
জালিয়াতি করে ২২ বছর পর শফিয়ার রহমানের অফিস সহকারি পদটি হঠাৎ শূন্য দিখিয়ে গোপন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত পদে তার আপন ভাগিনা খালেদুজ্জামানকে নিয়োগ দেন সুপার। যার ইনডেক্স (গ০০৫৪১৮০), এমপিও ভুক্তির তারিখ মার্চ/২৪। এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ৪৬ পেরিয়ে গেছে যা এমপিও ভুক্তির শর্তকে লঙ্ঘণ করে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার সুপার ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ইং তারিখে তার আপন ভাতিজা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দেন। আদতে উক্ত ব্যক্তির কোনো নিবন্ধন সনদ নেই। অন্য ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ জাল করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সুপার সাঈদুর ০১/০৩/২০১৮ ইং তারিখে মোস্তাফিজুর রহমানকে এমপিওভুক্তি করান । যার ইনডেক্স নম্বর (ঘ২১২১৭৮৩)। এবিষয়ে জানতে চাইলে জবাব না দিয়েই ফোন কেটে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে মাদরাসার অফিস সহায়ক মজিবর রহমানের জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ভুল সংশোধনের সুযোগ না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একতরফা সিদ্ধান্তে গত ৮ মাস থেকে তার বেতন ভাতা স্থগিত করে রেখেছেন সুপার। চাকরী জীবনের ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে সুপার উচ্চতর স্কেল থেকেও বঞ্চিত রেখেছেন তাকে। অভিযোগে আরো বলা হয়, সুপার সাঈদুর রহমান বিগত ২০০১ ইং হতে অদ্যাবধি গোপনে কখনও নিজের বাবা, বাবার মৃত্যুর পর মা, মায়ের মৃত্যুর পর আপন ভাইকে সভাপতি বানিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার আতুর ঘরে পরিনত করেছেন।
প্রশাসনিক ক্ষমতা এবং স্থানীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে শিক্ষক, কর্মচারীদের মাসিক বেতন ও উচ্চতর স্কেলের রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেয়ার বিনিময়ে টাকা আদায় এবং টাকা না দিলে বেতন ভাতা বন্ধ রেখে স্টাফদের নানা রকম হয়রানি ও হুমকি প্রদান করেন সুপার। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানের সীমানা বেষ্ঠিত গাছ রাতের আধারে কেটে বিক্রি ও নিজের বাড়ীর আসবাবপত্র বানানোর কাজে ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
উক্ত মাদরাসার সুপার সাইদুর রহমান ভূরুঙ্গামারী মহিলা ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক (ইসলাম শিক্ষা) পদেও নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন এবং একইসাথে দুই প্রতিষ্ঠানের সুবিধা গ্রহন করছেন তিনি। এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপারকে সতর্ক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো তদন্ত করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/দুপুর ২:০০