আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঐকমত্যের সরকার গঠনে একমত হয়েছিলেন ফিলিস্তিনের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং হামাসের শীর্ষ নেতারা।কিন্তু এরমধ্যেই ইসরাইলি গুপ্ত হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব ও শত্রুতাকে পাশ কাটিয়ে হানিয়ার মৃত্যুতে নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
৪ দশক ধরে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন ইসমাইল হানিয়া। তাকে খুন করতে ইসরাইল ছক কষে পরিকল্পনা করেছে বহুবার। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়ে ইসরাইল। তবে এবার অপেক্ষা ফুরিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। বুধবার সকালে ইসরাইলের এক গোপন হামলায় তেহরানে নিহত হয়েছেন হানিয়া। ইসরাইলি হামলার মুখোমুখি হওয়ার আগে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হানিয়া। যে কায়দায় হানিয়াকে হত্যা করেছে ইসরাইল, এটিকে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ বলে আখ্যা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট আব্বাস।
ইসরাইলের গুপ্ত হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের যে সব শীর্ষ নেতা ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছেন। তিনি এই কাপুরুষোচিত ঘটনাকে গুরুতর উসকানি হিসেবে বিবেচনা করছেন’। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘তিনি (আব্বাস) ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের শক্তিমত্তাকে একতাবদ্ধ করার, ধৈর্যশীল থাকার ও ইসরাইলি দখলদারদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’
২০১৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান নির্বাচিত হন ইসমাইল হানিয়া। পরের বছরই হানিয়াকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। গত এপ্রিলে ইসরাইলি হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ জুলাই ২০২৪,/দুপুর ১:৩৪