শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ৪নং পাঁচগাও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামে মধুর দোকান হতে সারামপুর রাস্তার উত্তর পাশের নৌ চলাচল ও বাড়ির পানি নিঃস্কাশনের খাল জবর দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগি নওয়াগাঁও গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন দাস এর ছেলে মহিম দাস, মাধব দাস ও মৃদুল কান্তি দাস বাদী হয়ে জবর দখলকারী একই গ্রামের মৃত মদন দাস এর ছেলে মহেশ দাস, মুক্তেশ্বর দাস ও মৃনাল দাস এর বিরুদ্ধে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ০৭/০৭/২৪ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহিম দাস, মাধব দাস ও মৃদুল কান্তি দাস এর পৈতৃক সম্পদ সংলগ্ন মধুর দোকান হতে সারামপুর রাস্তার উত্তর পাশের নৌ চলাচল ও তাদের বাড়ীর পানি নিঃস্কাশনের জন্য খাল যা জেলা প্রশাসকের সাবেক দাগ নং-৪০৭, বর্তমান দাগ নং- ১৩২৭, জে.এল. নং-৫৪, মৌজা-পাঁচগাঁও। উক্ত সরকারী জায়গায় জোর পূর্বক মহেশ দাস, মুক্তেশ্বর দাস ও মৃনাল দাস বিবাদিগণ দালান কোটা নির্মাণ করছে এবং বাদীদের রোপন করা একটি বড় রেনটি গাছ কেটে নিয়ে যায়। বিষয়টি বাদীগণ রাজনগর থানাকে অবগত করলে রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং গাছ কাটা ও খাল ভরাট করে দালান নির্মাণে সত্যতা দেখতে পাই।
এ ব্যাপারে রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহাজান খাঁন বিচারের জন্য সালিশ ডাকেন। বিবাদিগণ চেয়ারম্যানের সালিশি অমান্য করে দ্রুত গতিতে খালের উপর দালান কোটা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাদীদের সাথে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হতে পারে। উল্লেখ্য, বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সরকারি বৃক্ষ নিদনকার্য সম্পাদন করে, গাছ কাটা, গাছ চুরি সহ সরকারি খাস ভুমি দখল এদের জন্য নিত্তনৈমিত্তিক বিষয়।
বিগত ০৩/১১/২০০৮ ইং এল জি ই ডি স্মারক নং- এলজিইডি/ উ:প্র:/ রাজ:/ ২০০৮/ ৩৭৫(৪) তাদের বিরুদ্ধে রাজনগর-ফতেহপুর সড়কে মধুর দোকান সংলগ্ন এলজি ইডি রোডে রোপিত সরকারি বৃক্ষ কেটে নেওয়ায় অভিযুক্ত করে। এরা সরকারি ভূমিতে মধুর দোকান, কাছিমগঞ্জ বাজারে বাদীর টিনের মুদি দোকান জবর দখল পূর্বক পাকাস্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। মাহিম দাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত ১০.৪.১৬ তারিখে অভিযোগ করেন।
যার ডকেট নং-৭৩৩ এবং জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার বরাবরে অভিযোগ দেন। এর স্মারক নং-১৩৫৩। বিবাদীগণ বাদীদের রোপিত বৃক্ষ কেটে নিয়ে আরও বৃক্ষ কেটে নেওয়া ও বাদী (তিন সহোদর)’র সহায়-সম্পদ জবরদখলের পায়তারা করছে। এতে বাদীগণ পরিবার পরিজনের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজনগর মডেল থানায় ২৮/০২/০৪ইং তারিখে জি.ডি এন্টি করা আছে।
বিবাদীগণ বিগত ২৬.০১.১২ ইং তারিখে ১৩২৭ নং দাগে বাদী রোপিত গামাই বৃক্ষ জোর পূর্বক কেটে নিয়ে গেলে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করা হয়। যার ডকেট নং-২৯/০১/২০১২/২৫৩,বাদীগণ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ সংযুক্ত সরকারি খাস ভূমিতে পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষ রোপণ করে আজ বিপন্ন অবস্থায় আছে। উক্ত ভূমি বাদীদের পৈত্রিক সম্পদ সংলগ্ন হওয়ায় জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার বরাবরে ২ বার বন্দবস্তের আবেদন করেছেন, যাহার স্মারক নং -১০৭২, তাং- ২৯/০৯/১৯৯৯ এবং ২৮৫৭ তাং ১৮/০৩/২০০৪ ইং।
বিবাদীগণ সঙ্গবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত সরকারি ভূমি দখল সহ বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ নিধন সহ জন মানুষের ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত। বাদীগণ অবস্থান না করায় বাড়িতে গেলে বিবাদীরা তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এহেন অবস্থায় বাদীগণ তাদের পরিবার পরিজন সহ মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। বাদীগণ সরকারী ভূমি হতে দালান কোটা ভেঙ্গে পানি নিষ্কাশ ও নৌ চলাচলের ব্যবস্থা করতে প্রাকৃতিক পরিবেশ স্বভাবিক রাখতে বিবাদীগণের উপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিউএনবি/আয়শা/০৯ জুলাই ২০২৪,/রাত ৮:২৮