রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন

ঢাবির ৯৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা ,গবেষণায় বেড়েছে বরাদ্দ 

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪
  • ৭৮ Time View

জালাল আহমদ,ঢাবি : ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার নতুন বাজেট ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৯৭৩ কোটি ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে গবেষণা বাবদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৫ কোটি টাকা বেশি। 

বুধবার (২৬ জুন) বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনের সূচনা অধিবেশনে বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

পাশকৃত সংশোধিত ও নতুন বাজেট দুটোতেই ঘাটতি থেকে গেছে৷ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৯৪৫ কোটি ১৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার বাজেটে বেতন, ভাতা ও পেনশন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ। গবেষণা মঞ্জুরী বাবদ ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৫ লক্ষ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২.১২ শতাংশ। এ বাজেট বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন দেবে ৮০৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। এর বাইরেও বাজেটের ঘাটতি থাকবে ৫০ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যায়ের ৫.৩৭ শতাংশ।

২০২৩-২০২৪ সালের মূল বাজেট ছিল ৯১৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে ৫৯ কোটি ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার বৃদ্ধি করে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৯৭৩ কোটি ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনুদান ৭৭৬ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৯০ কোটি টাকাসহ আয় ধরা হয়েছে ৮৯১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৮.৩৬ শতাংশ।

বাজেট উপস্থাপনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন। প্রচুর অর্থ ব্যয় ব্যতীত এ ব্যাপারে সফল হওয়া দিবাস্বপ্ন মাত্র। গবেষণার জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয়। বিশ্বাবিদ্যালয়ে দুই হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রত্যেকের জন্য গড়ে গবেষণা বাবদ বরাদ্দ এক লক্ষ টাকা।

এই অর্থ দিয়ে বড় ধরণের মৌলিক গবেষণা আদৌ কি সম্ভব? আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে অনেক আলোচনা শুনতে পাই। এই র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি করতে হলে প্রয়োজন গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি। এই খাতে বাজেট বরাদ্দ বহুলাংশে বৃদ্ধি করলে আমরা কাঙ্খিত ফলাফল পাব বলে বিশ্বাস করি”।

অধিবেশনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, “স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে তার ভাবনাকে বাস্তবে রূপদানের কাজ শুরু করেছিলেন। পরবর্তীকালে ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনের মূল চেতনা সংকুচিত হতে থাকে। এর মূল কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বায়ত্তশাসন না থাকা। এক্ষেত্রে সরকারের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল থাকায় স্বাধীনভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায়ও আমরা আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারিনি।

এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন খাত থেকে যা আয় করে, সেই পরিমাণ অর্থ বাজেট প্রণয়নের সময় বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় দিয়ে থাকে। অথচ একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে হলে নতুন নতুন উদ্ভাবনের দিকে আমাদের দৃষ্টিপাত করতে হবে। সরকারের সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অধীনে গবেষণা কার্যক্রমকে আরো উৎসাহিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করি”।

এই নিউজ লেখা পর্যন্ত(৮:১০ মিনিট) বাজেট অধিবেশন চলমান ছিল।বিএনপিপন্থী সাদা দল থেকে নির্বাচিত অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বক্তব্য রাখছিলেন।তিনি ডাকসু নির্বাচন সহ বিভিন্ন দাবি জানান।

কিউএনবি/আয়শা/২৬ জুন ২০২৪,/রাত ১১:১৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit