শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
স্বামীর মৃত্যুর ১২ মিনিট পর স্ত্রীর মৃত্যু স্বামীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীর মৃত্যু যশোর শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে মেধাবৃত্তি পেল ২৭৮০ শিক্ষার্থী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানে ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করলো পুলিশ ভাতিজা তামিমের জন্য ‘মাঠ’ ছাড়লেন চাচা আকরাম ঢাকার তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ শি জিনপিংয়ের লালমনিরহাটে বহুল আলোচিত একাধিক ক্লুলেস ছিনতাই মামলার আসামি রানা গ্রেপ্তার বৃষ্টি হবে কবে জানাল আবহাওয়া অফিস আফগানিস্তানে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প

‘জানতাম না, এ ঘুমই জীবনের শেষ ঘুম!’

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪
  • ১০৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০টায় ঘরের দরজায় বসেছিলেন মমতাজ বেগম। একমাত্র ছেলে আনোয়ার ও বউ মাইমুনাকে হারিয়ে এখন তিনি নির্বাক। চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে। 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলে বাদশাঘোনা ওমর ফারুক (রা.) জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। রাতে যখন ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল, আমার ঘরে আসার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু সে সমস্যা হবে না বলে ঘুমাতে চলে যায়। আমি কী জানতাম, ছেলের এ ঘুমই জীবনের শেষ ঘুম হবে। এভাবে বলতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মমতাজ বেগম।
  
নিহত আনোয়ারের স্বজনরা বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আনোয়ার। পাশেই ৫ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মাইমুনা আক্তার ঘুমিয়েছিলেন। পারিবারিকভাবে ৯ মাস আগে মাইমুনাকে বিয়ে করেন আনোয়ার। কে জানতো তারা পাহাড় ধসে মারা যাবে।
 
প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আমিন বলেন, ‘চিৎকার শুনে দ্রুত আনোয়ারের ঘরে ছুটে আসি। তখন খাটের ওপর আনোয়ার ও মাইমুনা একে অন্যের হাত ধরে ছিলেন। আর তাদের শরীরের ওপর ধসে পড়া মাটি ছিল। কয়েকজন মিলে দ্রুত মাটি সরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মৃত্যু ভুলতে পারছি না!
 
এদিকে পাহাড়ধসের ঘটনাস্থলের পাশেই পাহাড় কাটতে দেখা যায়। আর এসব কাটা পাহাড় আড়াল করতে টিনের বেড়া আর ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তবে পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জড়িতরা। পাহাড় কাটায় জড়িত নারী প্রিয়া বলেন, ‘এখানে পাহাড় কাটা হচ্ছে না। এগুলো আগেই কাটা হয়েছিল। এখন বাড়ি করার জন্য টিন দিয়ে বেড়া ও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছে।’
 
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম আসলেই পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সরে যেতে পৌরসভা, জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। একইসঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই আশ্রয়কেন্দ্রে যায় না। যে কারণে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।’
  
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা বলেন, ‘রাতভর বৃষ্টিতে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাঘোনা এলাকায় একটি ঘরের ওপর পাহাড় ধসে পড়ে। ওই ঘরে আনোয়ার-মাইমুনা দম্পতি থাকতেন।’
 
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে গত ১৯ জুন কক্সবাজারের উখিয়ায় ৫টি ক্যাম্পে পাহাড়ধসে দুজন স্থানীয় বাসিন্দাসহ ১০ জন নিহত হন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২১ জুন ২০২৪,/বিকাল ৪:১৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit