উপজেলার চান্দুরা ইউপির রসুলপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ মিয়ার স্ত্রী শিরিন খাতুন গত ২ মে রাত আনুমানিক ১১টায় পার্শ্ববর্তী চাচাতো দেবর মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে বিল্লাল, দুলাল, আলাল, জালালের সাথে ভিটির জায়গা সংক্রান্তের পুরনো বিরোধীদের জেরে ঝগড়া হয় এতে সে রক্তাক্ত গুরুতর জখন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকে,এ সময় আশেপাশের লোকেরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্থানীয় রব্বান ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় অবস্থার বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হসপিটালে নেওয়ার পরামর্শ দেয় সেই মতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞতকরণে তাদেরকে হসপিটাল থেকে রিলিজ করে দেয়। শেষে বাড়ি চলে আসে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে সি আর মামলা দায়ের করেন। টাকার অভাবে সঠিকভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি, গত ১৩ জুন নিহতের একমাত্র ছেলে রুবেল মিয়ার বউ নুরবানু জানান শাশুড়ি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তার তার মামা শ্বশুরর নিহত শিরীনের ভাই পার্শ্ববর্তী আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুরে নিয়ে যায় তারপর সেইখান থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তার অবস্থার অবনতি হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনা হলে ১৪ জুন শুক্রবার দুপুর ২ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি বিষক্রিয়ায় মৃত্যু বরণ করেন। ১৫ জুন শনিবার বিকাল ৫ টায় তার নিজ বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউপির রসুলপুর গ্রামে আনা হয় এবং পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে সিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী ও বিল্লালের মা আনোয়ারা বেগম জানান, নিহত শিরিন দেবরের স্ত্রী ও তাদের বাড়ি থেকে গৃহপালিত পশু নিয়ে মূল রাস্তায় যাওয়ার জন্য ছিন ও রাস্তায় সংকলন না হওয়ায় নিহত শিরিনের বাড়ির উপর দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। শিরিন প্রায় সময় তাদেরকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ঝগড়াঝাটিরে লিপ্ত থাকে।গত ২রা মে তার ছেলেদের সাথে ঝগড়ার কথা সংবাদকর্মীদের সামনে অকপটে স্বীকার করেন। এব্যাপারে বিজয়নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান যেহেতু আশুগঞ্জ থানাধীন দুর্গাপুরের ঘটনা সুতরাং আশুগঞ্জ থানা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। এব্যাপারে আশুগঞ্জ থানা ডিউটি অফিসার এসআই সালাহউদ্দিন জানান এ পর্যন্ত এ বিষয়ে নামে কোন মামলা হয়নি।
কিউএনবি/অনিমা/১৬ জুন ২০২৪,/বিকাল ৫:২৬