নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের বাড়ির জৈনক ব্যক্তি বলেন, সব সময় এই বাড়িতে দেহ ব্যবসা চলে। বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় বড় বড় লোকজন হাত করে এ ব্যবসা করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ সরাসরি প্রতিবাদ করতে পারে না। যদি কেউ বলে তাকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। মান-সম্মানের ভয়ে কেউ কিছু বলে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের বাড়ির আরেক বাসিন্দা জানান, এলাকাবাসীর উদ্যেগে আমরা বহুবার ঐ বাড়ি থেকে দেহ ব্যবসা বন্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়েছি, কিন্তু তাদের ক্ষমতার কাছে আমরা দুর্বল হয়ে ফিরে এসেছি। এলাকার মাদকসেবি, প্রভাবশালী, কিশোরগ্যাং ও লিডারসহ বখাটে শ্রেনির যুবকরা তাদের পক্ষে থাকার কারণে আমরা নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষেরা তাদের কুকর্মের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারিনি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হয়তো তাদের এই যৌন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা।এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মোঃ জহির শেখ বলেন, আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ, আমি এখানে ৩০ বছর যাবৎ বাড়ি করে বসবাস করছি। এছাড়াও তিনি এবং তার ছোট ছেলে জাকির বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম বলা শুরু করে। দেহ ব্যবসার কথা জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও প্রশ্নের জালে আটকে গিয়ে বলেন, আগে এ ব্যবসা চলতো কিন্তু কিছুদিন ধরে বন্ধ আছে, আমার ছেলেরা এসব পছন্দ করেনা।এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, বিষয়টি আমার জনা নেই, তবে ঘটনাস্থলে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমের প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/দুপুর ১:৫৬