ডেস্ক নিউজ : রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য রেলকে স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তবে এতে আমাদের দক্ষ জনশক্তির পাশাপাশি আমাদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। বিএনপির সময় গোল্ডেন হ্যান্ডশেক করে আমাদের দক্ষ জনশক্তিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটা কারখানার যা ক্যাপাসিটি আছে আমরা ইচ্ছে করলে অনেক কিছু করতে পারি। কিন্তু সমস্যাটা হলো আমাদের লোকবলের অভাব।
তিনি আরও বলেন, এই রেলওয়ে কারখানাকে স্মার্ট করতে চাইলে আমাদেরকে স্মার্ট হতে হবে। আধুনিক কারখানা করতে গেলে সেই ধরনের মেশিন আমদানি করতে হবে। সেটা চালানোর লোক লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি আপনারা সহযোগিতা করবেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জিল্লুল হাকিম বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় জনবল দিন দিন কমে আসছে। ২ হাজার ৮৫৯ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ৮৬০ জন কর্মরত রয়েছেন। রেলওয়ে সেতু কারখানায় অতীতে রেলসেতুর গার্ডার তৈরি হতো।
কারখানাটি আবার সচল করা হবে। তাঁরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন রেলওয়ের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের যে যন্ত্রপাতি আছে আরও কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লোকবল নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে রেলকে উন্নতির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চান। আমরা চাচ্ছি রেলকে স্বাবলম্বী করার জন্য। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রেলকে স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি অতি দ্রুত লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে বলেছেন এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি সমস্যাগুলো সমাধানের। এক দিনে তো সম্ভব হবে না। একটু সময় লাগবে আমাদেরকে একটু সময় দিতে হবে। আমরা সবাই মিলে রেলের একটা পরিবার। জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, রেলের অনেক জমি বেহাত হয়ে গেছে। এ কাজে দুর্বৃত্তরা জড়িত। রেলের জন্য যেটুকু জমির প্রয়োজন, তা দখলমুক্ত করা হবে। রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়নে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে মন্ত্রী কারখানার ২৯টি শপ (উপ-কারখানা) ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। বর্তমান সরকারের রেলপথ মন্ত্রী হিসেবে এটিই তার প্রথম রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন। তিনি রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ ও পুলিশ সুপার গোলাম সবুর। এরপর মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে কারখানায় স্থাপিত অদম্য স্বাধীনতায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক (ডিজি) কামরুল হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই, পশ্চিম) মুহম্মদ কুদরত-ই খুদা, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শ্রমিক লীগ নেতা মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৪:৪০