এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, হত্যা করা হয়েছে; আসামিরা স¤পত্তির লোভে হায়দার আলীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পরিকল্পিত ভাবে হায়দার আলীকে চিকিৎকার নামে অপচিকিৎসা করান আসামিরা। ফলে হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে ধুকেধুকে মৃত্যু বরণ করেন। বোনের এমন অভিযোগে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৩ মাস ২০ দিন পর হায়দার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে একিসকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত খান ও চৌগাছা থানার এস আই মাহফুরুর রহমানের উপস্থিতিতে উপজেলার মাকাপুর পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশউত্তোলন করা হয়।

৯ অক্টোবর ২০২৩ সালে তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সে সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন স¤পন্ন হয়। কিন্তু ২৭ ডিসম্বর ২০২৩ হায়দার আলীর বোন হামিদা বেগম হায়দার আলীকে হত্যার অভিযোগে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী-ছেলে ও মেয়েসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মো. ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
মামলার বাদী হামিদা বেগম বলেন দোষীদের শাস্তির দাবিতে আদালতে মামলা করেছি।একিসকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত খান বলেন, দময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে হায়দার আলীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/২৩ জানুয়ারী ২০২৪/রাত ৯:৪৬