স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ সাল থেকে ক্রিকেট ভক্তরা নতুন বিস্ময় দেখেন। বাংলাদেশের জার্সিতে ভরসার অন্যতম নাম হয়ে উঠেছিলেন সৌম্য সরকার। এরপরের বছর আকস্মিকভাবে পতন হয় তার। তবে ঘুরে দাঁড়ান ২০১৭ সাল থেকে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আবারও জ্বলে উঠেন সৌম্য। এরপরে আবারও পতন। সেই পতনের রেশ এখনও দগদগে।
বিভিন্ন প্রশ্ন ও সমালোচনাকে একপাশে রেখে আবারও সৌম্যকে নেওয়া হলো দলে। বলা হয়েছিল, কেবল ব্যাট নয়, বল হাতেও তিনি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ঘটেছে। বল হাতে ৬ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এছাড়া ফিল্ডিংয়ের সময়ে ক্যাচও ছেড়েছেন তিনি। আর ব্যাট হাতে তো সেই পুরোনো ব্যর্থতা। স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মেরে স্লিপে দিয়েছেন সহজ ক্যাচ।
এ বছর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডে খেলতে নামলেন সৌম্য। আর তিনটিত ম্যাচ খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ২১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন সৌম্য। সবশেষ ১৬ ওয়ানডে ইনিংসে সেঞ্চুরি তো দূরের কথা, হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মাত্র একটি। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা বলের কোনো টুর্নামেন্টেই তিনি রান করেননি।
ডিপিএলের সবশেষ আসরে ১১ ইনিংস খেলে সৌম্য করেন ২৯৩ রান। আর ২০ ওভারের ক্রিকেটে গত বিপিএলে ১২ ইনিংসে তিনি করেছেন ১৭৪ রান। এর মধ্যে একটি ছিল হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। গড় ছিল ১৪.৫০। তবুও বারবার সৌম্যের দিকেই নজর পড়ে দলের। আর তারই প্রতিদান হিসেবে এক বুক হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেননি ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ ডিসেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:২৮