এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-২ চৌগাছাঝিকরগাছা আসনে কেন্দ্র থেকে তৌহিদুজ্জামানকে আওয়ামীলীগ দলীয়প্রার্থীর পক্ষে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেয়ায় হতাশ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা।মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা দু’উপজেলার বর্ষীয়ান নেতা কর্মী থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতা কমীরা।যশোর-২ চৌগাছা-ঝিকরগাছা নির্বাচনী এলাকায় এবারের দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনে এ আসনে থেকে দেড় ডজন খানেক বর্ষীয়ান নেতা দলীয় মনোনয়ন পাবার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিলবোর্ড টাঙিয়ে প্রচার প্রচারনার পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ে গ্রুপিং লবিং অব্যাহত রাখলেও কোন কাজ হয়নি। নির্বাচনী এলাকায় শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা হলেন চৌগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চৌগাছা উপজেলার দলের কান্ডারী, একমাত্র ধারক বাহক বীর মুুক্তিযোদ্ধা এস এমহাবিবুর রহমান, এ্যাডভোকেট এবিএম আহসানুল হক আহসান, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, বর্তমান সংসাদ মেজর (অবঃ) ডাঃ নাসির উদ্দীন, সাবেক বিদ্যুত-জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, তার পুত্র অমিত, সাবেক ছাত্রনেতা কামাল হোসেন, ডাঃ তৌহিদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, গিলবার্ট নির্মল বিশ্বাস সহ ডজন খানেক আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা।
সকলের আশাকে হতাশার কুয়াশায় ডুবিয়ে অবশেষে দলের হাই কমান্ড সার্বিক দিক বিচার বিশ্লেষনের পর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডাঃ তৌহিদুজ্জামানকে যশোর-২ আসনে নৌকার মাঝি হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। ডাঃ তৌহিদুজ্জামানকে মনোনয়ন দেয়ার কারনে স্থানীয় দেলের নেতা কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। এ নিয়ে দলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দলের নেতা কর্মীরা কোন মতে তৌহিদুজ্জামানকে মেনে নিতে পারছেনা। স্থানীয় নেতা কর্মী ও মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরাও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে একটু অন্য রকম দৃষ্টিতে দেখছে। অনেকে আবার মন্তব্যই করে বসছে নৌকার প্রার্থী, কে এই ডাঃ তৌহিদুজ্জামান। আমরা তো তাকে কোনদিনই এলাকায় দেখিনি, নামও শোনেনি। কোনদিনই তো সে এলাকার আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহন করেনি। তাহলে কিভাবে তিনি আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেলেন, এটা এলাকার আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা-কমর্মীদের কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হচেছ।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, এলাকার বাদ পড়া ত্যাগী নেতারা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বেছে নিতে যাচেছন। তারা সকলে বসে সিদ্ধান্ত নিচেছন তাদের মধ্য থেকে যে কোন একজনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এ আসনে দাঁড় করাবেন। ফলে আওয়ামীলীগ দলের মধ্যে শূরু হতে যাচেছ নূতন মেরু করণ। এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দু’ উপজেলার আওয়ামীলীগ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং লবিং এর কারণে সার্বিক দিক বিবেচনা করে দলের ভিতর বিশৃংখলার হাত থেকে দলকে দূরে রাখার জন্য দলের হাই কমান্ড থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দীর্ঘদিনের রাজপথে দলের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে জেল জুলুমহুলিয়ার শিকার হওয়া ত্যাগী নেতা কর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছে না। তাদের মনের ভিতর জন্ম নিয়েছে চাপা ক্ষোভ এবং এক রাশ হতাশা ।
কিউএনবি/অনিমা/২৮ নভেম্বর ২০২৩/বিকাল ৩:৩৮