বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন

বোমায় বাঁচলেও ক্ষুধায় মরবে গাজাবাসী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৪৭ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের টানা এক মাসের বর্বর বোমা হামলায় নিঃস্ব হয়ে গেছে গাজাবাসী। নেই ভিটেমাটি। তিন বেলা খাবারের জন্য এক টুকরো রুটিও এখন পাচ্ছে না গাজাবাসী। খাবারের কোনো উৎসই আর ‘বেঁচে’ নেই। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনাহারে মরার ভয়ের কাছে বিমান হামলায় মৃত্যুভয় এখন তুচ্ছ হয়ে উঠেছে গাজায়! গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘বোমায় বাঁচলেও ক্ষুধায় মরবে গাজাবাসী।’

হামলা শুরুর দুদিন পর থেকেই (৯ অক্টোবর) গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল। অবরুদ্ধ উপত্যকায় খাদ্য, পানি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বন্ধ করে দিয়েছে। হামাস ধ্বংসের নামে বারবার দোকান ও বেকারি, পানির ট্যাংকে বোমাবর্ষণ করেছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার করছে পুরো গাজা। এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজকে আমার কাছে অল্প পরিমাণ খাবার আছে, কিন্তু আগামীকাল আমি খাবার পাব কিনা তা নিয়ে চিন্তিত।’ অধিকাংশ মানুষই খাদ্য সংকটে ভুগছে। এটি বয়স্ক, অসুস্থ ও ছোট শিশুদের মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। একদিকে হামলা, আরেকদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে প্রায় সব বেকারি ও সুপার মার্কেট বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু একটি বেকারি বাকি আছে। যার চার পাশে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। এমনকি রুটি বানানোর জন্য কারো ঘরে কোনো আটাও অবশিষ্ট নেই। মানুষ শুধু বিস্কুট খেয়ে বেঁচে আছে। পানি ছিল এমন মসজিদেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। পানির লাইন এবং সৌর প্যানেলগুলোও ধ্বংস করে দিয়েছে বোমা হামলায়। 

তিনি আরও বলেন, সংকটের এই সময়ে আমরা দূষিত পানি পান করছি। গাজার আরেক বাসিন্দা বলেছেন, দূষিত বাতাসেও ভরে গেছে গাজার বাতাস। রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে চার দিকে। ডায়রিয়া ও কলেরাসহ বেশ কিছু পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে কিডনিতে ব্যথা অনুভব করছেন অনেকেই। যুদ্ধের আগে, গাজা উপত্যকায় ৭০ শতাংশ শিশু অপুষ্টি, রক্তস্বল্পতা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিল। অধিকার গোষ্ঠী ইউরো-মেড মনিটর বলছে, এটি বেড়ে ৯০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর বলছে, ইসরাইলি আক্রমণগুলো গাজার পূর্বে কৃষি এলাকা, ময়দার দোকান এবং জেলেদের নৌকাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। খাবারের কোনো উৎস অবশিষ্ট নেই। ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ক্ষুধা ক্রোধে রূপান্তরিত হচ্ছে। কারণ মানুষ খাদ্যের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে বসবাস করে হতাশ হয়ে পড়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/০৯ নভেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:৩৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit