আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের বোমাবর্ষণ চলছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে হামলা আরও তীব্র হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী আবারও নারী, শিশু ও নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে মানবিক সংকট আরও গভীর হবে। ইসরাইলকে অবশ্যই তাদের এই হামলা বন্ধ করতে হবে।’
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনেরা, আজ আমরা আমাদের আহ্বানকে আরও জোরালো করে বলব, আমরা ইসরাইলি নিপীড়নের মুখে ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি।’গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস। তাতে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকসহ ইসরাইলের ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। যে হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
হামাসকে টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে দাবি করলেও ইসরাইলের হামলায় বেসামরিক নাগরিক বেশি হতাহত হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে ৭ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার বেশিরভাগই শিশু। সম্প্রতি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে তুরস্ককে। কিন্তু ফিলিস্তিনি ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো চুপ থাকেননি দেশটির সরকার।
পশ্চিমারা হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ তকমা দিলেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। বরং তারা একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন, যারা ফিলিস্তিনের মানুষ ও ভূখণ্ড রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’
গত বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে এরদোয়ান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে মুসলিম দেশগুলোকে একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে কোনো রাখঢাক ছাড়াই ইসরাইলের পক্ষ নেয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের জন্য পশ্চিমাদের চোখের পানি ফেলা প্রতারণার বহিঃপ্রকাশ।’
কিউএনবি/আয়শা/২৮ অক্টোবর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:২৮