আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে বসবাসরত সমস্ত অননুমোদিত আফগান আশ্রয়প্রার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশটিতে বর্তমানে ১৭ লাখ অননুমোদিত আফগান আশ্রয়প্রার্থী রয়েছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি অবৈধ আফগানদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার আদেশ ঘোষণা করেন। খবর বিবিসি নিউজ।
মূলত চলতি বছর দুই দেশের সীমান্তে বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা দুই দেশেই উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানে সীমান্ত ক্রসিং হামলার জন্য আফগানিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীদের দায়ী করছে দেশটির সরকার। যদিও বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তালেবান সরকার।
বিবিসি জানায়, বিদেশে আশ্রয় নেওয়ার অধিকার আন্তর্জাতিক আইনে অন্তর্ভুক্ত। পাকিস্তানে কয়েক লাখ আফগান শরণার্থী রয়েছে। বিশেষ করে ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে বেশি শরণার্থী গিয়েছে পাকিস্তানে। জাতিসংঘের হিসেবে, প্রায় ১৩ লাখ আফগান শরণার্থী নিবন্ধিত এবং আরও ৮ লাখ ৮০ হাজার পাকিস্তানে থাকার জন্য আইনি মর্যাদা পেয়েছে।
তবে মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি দেশটিতে ১৭ লাখ অবৈধ আফগান শরণার্থী রয়েছে দাবি করেন। তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তিদের চলতি মাসের শেষ নাগাদ দেশ ছাড়তে হবে – স্বেচ্ছায় হোক বা জোরপূর্বক নির্বাসনের মাধ্যমে।“মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি তারা না যায়, তাহলে প্রদেশ বা ফেডারেল সরকারের সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে তাদের নির্বাসনের জন্য ব্যবহার করা হবে।” তবে এ ধরনের অভিযান কীভাবে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। এ ছাড়া পাকিস্তানে অবৈধ আফগানদের ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং সম্পদ সনাক্ত ও বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স ঘোষণা করেন মন্ত্রী। ইতিমধ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ আফগানদের ধরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানে আফগান কর্মকর্তারা। তবে যাদের আইনগত মর্যাদা রয়েছে তাদের কিছু বলা হবে না।
পাকিস্তানের সীমান্তের এলাকাগুলো প্রায়ই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার স্বীকার হয়ে থাকে। বেলুচিস্তান প্রদেশে প্রায়ই তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা পাকিস্তানি তালেবান এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপ সহ সশস্ত্র যোদ্ধাদের দ্বারা আঘাতের স্বীকার হয়। এই মাসের শুরুর দিকে, একই জেলায় একটি বিস্ফোরণে একজন বিশিষ্ট মুসলিম নেতাসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত সপ্তাহেও, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী মাস্তুং শহরের একটি মসজিদে ধর্মীয় উদযাপনের সময় বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ অক্টোবর ২০২৩,/দুপুর ২:৩৮