আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানে হিজাব আইন না মানায় এক কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দেশটির নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে। ধারণা করা হচ্ছে, হিজাব না পরায় পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেয়া হলে কোমায় চলে যান ওই তরুণী।
গতকাল মঙ্গলবার ইরানি এক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়। খবর এএফপি ও দ্যা গার্ডিয়ান। কুর্দি মানবাধিকার সংস্থা হেনগাও জানায়, ১৬ বছর বয়সী কিশোরী অর্মিতা গারাওয়ান্দ তেহরানের একটি মেট্রো স্টেশনে নারী পুলিশ সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন। হিজাব পরিধান না করায় নৈতিকতা পুলিশের সঙ্গে তরুণীটির ধস্তাধস্তি হয়।
তবে তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান সরকার। শরীরের রক্ত চাপের মাত্রা কমে যাওয়ায় ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়ে বলে জানায় তারা। এই ঘটনার সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কোনো সদস্য জড়িত নয় বলছে দেশটির সরকার। এদিকে এ ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতাবস্থায় রেখেছে ইরান।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। হিজাব আইন না মানায় মাহসাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে তখন ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কড়া নিরাপত্তা বজায় রেখে নিবিড় চিকিৎসা চলছে কোমায় থাকা ওই কিশোরীর। তবে সংস্থাটির অভিযোগ, অর্মিতা গারাওয়ান্দ নামের ওই কিশোরীর কোনো আত্মীয়-স্বজনকে; এমনকি বাবা-মাকেও কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
মানবাধিকার সংস্থাটি অর্মিতার হাসপাতালে শোয়া অবস্থার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে। সেখা দেখা যায়, ওই কিশোরীর মাথা এবং ঘাড় ভারীভাবে ব্যান্ডেজ করা এবং তাঁর নাকে একটি ফিডিং টিউব লাগানো হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ অক্টোবর ২০২৩,/দুপুর ২:২১