ডেস্ক নিউজ : বুধবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। ভারতের দৈনিক পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এসেছে বাংলাদেশে দুই দলের বিরোধী অবস্থানের কারণে সামরিক শাসকের উত্থান ঘটতে পারে, এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারি না। এগুলো আমি মনে করি না। গ্রাউন্ড রিয়েলিটি ইজ বিএনপি বড় মিটিং করে, শুনেছি ওরা টাকাটুকা দেয়, তখন লোক আসে। কিন্তু আমাদের বৃহত্তর জনগণের কাছে যদি যান, তারা আওয়ামী লীগকেই পছন্দ করে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২১ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে। এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন উঠেছে যে বাংলাদেশ এবার সদস্যপদ পাবে না। নতুন সদস্য নেয়ার ক্ষেত্রে ব্রাজিল ও ভারত কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারত যেহেতু প্রতিবেশী দেশ। বাংলাদেশ তাদের কাছে কোনও অনুরোধ করবে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাহ, আপনি তো সব উত্তরও দিয়ে দিয়েছেন। আমরা যেটা শুনেছি, আপনিও তাই বলেছেন।
‘এখন তো নতুন ডেভেলপমেন্ট হয়েছে। শুনেছি, প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিনিধি আসবেন। আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় সবাই আসবেন। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে এখনও আমাদের সম্পর্ক জোরালো হয়নি। ইট ইজ অ্যা রাইজিং স্টার। আমরা সেই সুযোগে বিভিন্ন দেশের লোকের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
ভারত প্রতিবেশী দেশ, তাদের প্রতি কেনো অনুরোধ থাকবে কিনা, এম প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে তো ভারত যাচ্ছিই। আরও অন্যান্য দেশে যাচ্ছি, তখন দেখা হবে। দেখা তো হবেই বটে। বিশেষ কোনো আয়োজন আমরা সেখানে করবো, নাকি ভারতে করা হবে, সেটা আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’রোহিঙ্গাদের আগমনের আরও একটি বছর পার হতে যাচ্ছে। তাদের প্রত্যাবাসনের কোনো সুযোগ তৈরি হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। এখন এটা বলতে পারব না। কারণ দু-দুবার তারিখ দেয়ার পরেও হলো না। মিয়ানমারই তারিখ দিয়েছিল।
আর এখন তো কিছু লোক উঠেপড়ে লেগেছে, যাতে তারা না যান। আমাদের কিছু বন্ধুপ্রতীম দেশ মনে করে যে তাদের এই দেশে স্কিল ট্রেনিং দিয়ে অ্যাবজর্ব করে ফেলা উচিত। কারণ পশ্চিমা দেশগুলোতে শরণার্থী যারা যান, তারা ওই দেশে স্থায়ী হয়ে যান। প্রত্যাবাসনের কোনো উদহারণ পশ্চিমা দেশগুলোতে খুব একটা নেই। আব্দুল মোমেন আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা, এসেছে যখন তাদের অ্যাবজর্ব করে নাও। সেদিন যে দুজন কংগ্রেসম্যান এসেছিলেন, তারাও একথা বলেছিলেন। আমরা বলেছি, জি না, আমরা হলাম দুনিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। প্রতিবছর এখানে ২০ লাখের বেশি লোক জব মার্কেটে আসেন, অন্য লোক আমাদের দরকার নেই। তাদের নিজ দেশেই ফিরে যাওয়া উচিত।
আর আপনারা কিছু নিয়ে যান। আপনারা তো নেননি, বলেকয়েও নেননি। আপনারা তো বলেছিলেন, অনেক লোক নেবেন, আপনাদের বন্ধু দেশগুলোকেও বলবেন। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। আপনারা বরং সেটির জন্যই চেষ্টা করেন। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে তারা যায়। মিয়ানমার আমাদের শত্রু দেশ না, প্রতিবেশী দেশ জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, তাদের কিছু অসুবিধা ছিল বলে তাদের বের করে দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতেও তারা রাজি। কিন্তু কোন সময় নেবে, সবই তাদের ওপর নির্ভর করে। কারণ তারাই সমস্যা তৈরি করেছে। সমাধানও তাদের। আমরা চাপ দিচ্ছি। রোহিঙ্গাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের না। দুনিয়ার সব দেশের। তাদের যাতে নিয়ে যাওয়া হয়, যারা এখানে আসেন, তাদের সেটা বলেছি।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১০:৩৮