আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০০৪ সালের পর ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনও নারীকে ফাঁসিতে ঝোলাতে চলেছে সিঙ্গাপুর সরকার। মাদক পাচার মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তকে (৪৫)। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুরে খুন-অপহরণের মতো অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে মাদক সংক্রান্ত বিষয়েও কয়েকটি আইন প্রচলিত আছে। এর মধ্যে গাঁজার ক্ষেত্রে ৫০০ গ্রাম এবং ১৫ গ্রামের বেশি হেরোইন পাচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। আর এমন মামলাতেই মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে সারিদিউই ডিজামনি নামে ওই নারীর। এছাড়া আরও এক ব্যক্তির (৫৬) মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় মানবধিকার সংগঠন ট্রান্সফরম্যাটিভ জাস্টিস কালেক্টিভ (টিজিসি) জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার সারিদিউই ডিজামনির ফাঁসি কার্যকর হবে। তার বিরুদ্ধে ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের অভিযোগ রয়েছে। মাদক পাচারের দায়ে ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে যে ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে, তিনি ৫০ গ্রামের বেশি হেরোইন পাচারের অপরাধে অভিযুক্ত। আগামী বুধবার তাকে চাঙ্গির কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হবে। জানা গেছে, দুই অভিযুক্তই সিঙ্গাপুরের নাগরিক। তাদের ফাঁসির আদেশ তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আসন্ন মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির মৃত্যুদণ্ড বিশেষজ্ঞ চিয়ারা সাঙ্গিওর্জিও বলেন, এটা অযৌক্তিক। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে নিষ্ঠুরভাবে আরও বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩ জনকে ফাঁসি দিয়েছে সিঙ্গাপুর।
কিউএনবি/অনিমা/২৫ জুলাই ২০২৩,/রাত ৯:২২