শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন

জয় নিশ্চিত ভেবে প্যাড খুলে ফেলেছিলেন শরিফুল

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৮৯ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক : সিলেটে শনিবার অনুশীলন না থাকায় বাংলাদেশ দলের শরিফুল ইসলাম ও আরও কয়েকজন গিয়েছিলেন রাতারগুলে ঘুরতে। সেই ছবি সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করে এই বাঁহাতি পেসার লিখেছেন— ‘প্রশান্তি।’ প্রকৃতির এতটা কাছাকাছি গেলে অনুভূতি এমনই থাকে। তবে শুধু এই কারণেই নয়, শরিফুলের মনে প্রশান্তির ছায়া থাকার কথা আগের রাতের ম্যাচটির কারণেও।

যে ম্যাচে বাংলাদেশের শেষ সময়ের নায়ক তিনি। তার মূল কাজ যদিও বোলিং। সেখানে তিনি এই ম্যাচে খুব একটা সফল হতে পারেননি। তবে পরে ব্যাট হাতে পুষিয়ে দিয়েছেন স্রেফ একটি বল খেলেই। তার হাত ধরেই এসেছে দলের জয়ের মুহূর্তুটি। তার শটেই দূর হয়েছে অভাবনীয় হারের শঙ্কা।

সেই শঙ্কার দোলাচলের আগে স্বস্তির দোলাই ছিল। ৫ বলে যখন প্রয়োজন ২ রান, উইকেট বাকি ৫টি। ১০ নম্বর ব্যাটসম্যানের তখন আর কাজ কী! প্যাড খুলে নিশ্চিন্ত মনে জয়ের অপেক্ষায় ছিলেন শরিফুল। ভাবনার সীমানায় ছিল না, একটু পর প্রবল চাপকে সঙ্গী করে তাকেই নেমে যেতে হবে দলকে জেতানোর গুরুদায়িত্ব নিয়ে! শেষ পর্যন্ত চাপকে জয় করেই দলকে জিতিয়ে দেন তিনি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ৬ রান। করিম জানাতের প্রথম বলই বাউন্ডারিতে পাঠান মেহেদী হাসান মিরাজ। তখন তখন সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সেই সময়টাই নাটকীয়ভাবে দূরে যেতে থাকে। টানা তিন বলে আলগা শটে উইকেট বিলিয়ে দেন একে একে মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ।

করিম জানাতের হ্যাটট্রিকে যখন আনন্দে ভাসছেন আফগানরা, বাংলাদেশ তখন শঙ্কায় অবিশ্বাস্য এক হারের। শরিফুল নেমে অবশ্য সব ভয়কে জয় করে নেন। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের ঠিকানায়।

 ১ ওভারে যখন ৬ রান লাগে, এর পর মিরাজ ভাই চার মারে প্রথম বলেই, আমি তখন নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা জিতে যাব। আমি, মোস্তাফিজ ভাই, নাসুম ভাই ভেতরে রিল্যাক্স… প্যাডও খুলে ফেলেছিলাম। দেখলাম যে মিরাজ ভাই আউট হয়ে গেল। তার পর আস্তে আস্তে প্যাড পরতে লাগলাম। তাসকিন ভাই নামলেন। আমি নিচে গেলাম।

নাসুম ভাই নামলেন। উনিও আউট হয়ে গেলেন। আমি যখন যাচ্ছিলাম, কোচ আমাকে বললেন, ‘তুমি পারবা, স্রেফ ব্যাটে বলে সংযোগ করবে, তা হলে সহজ হয়ে যাবে।’ আমি মাঠে নামার পর হৃদয় বলছিল যে, ‘এটা কোনো বিষয় নয়, কোনো চাপও না। ২ বলে ২ রান হবেই। তুমিই পারবা। আর ব্যাটে না লাগলেও দৌড় দেবে।’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে, তুমি বিশ্বাস রাখো, আমি পারব।’ পরে তো আল্লাহর রহমতে হয়ে গেছে।

কিউএনবি/অনিমা/১৬ জুলাই ২০২৩/দুপুর ১:৪২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit