বিদ্রোহ থেকে সরে আসার পাঁচ দিন পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওয়াগনার বস ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্রেমলিন। তার পরেও প্রশ্ন, কোথায় গেলেন প্রিগোজিন? পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দশটা দিন চলে গেছে। কিন্তু কেউ জানে না, কোথায় রয়েছেন তিনি।
ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার ইউক্রেন এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সক্রিয়। সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে দীর্ঘদিন ধরে চলা লড়াইয়ে ওয়াগনার যোদ্ধারাই রাশিয়াকে জিতিয়েছে। সেই যুদ্ধে ইউক্রেন এবং ওয়াগনার, দুই পক্ষেই প্রচুর মৃত্যু হয়।
প্রিগোজিনের অভিযোগ ছিল, রাশিয়া সহযোগিতা না-করায় তাদের প্রচুর যোদ্ধাকে হারাতে হয়েছে। যুদ্ধ জয়ের পরে ওয়াগনার সেনাদের নিশানা করে পুতিনের বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এরপরেই ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় ঢুকে পড়ে ওয়াগনার। কিন্তু মস্কোর কাছাকাছি চলে এসেও হঠাৎ ফিরে যায়। সেই সময়ে শেষ বার দেখা যায় প্রিগোজিনকে।
এর মধ্যে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, তিনিই পুতিনের সঙ্গে ওয়াগনার বাহিনীর সমঝোতা করিয়ে দিয়েছেন। মস্কো এ জন্য তাকে ধন্যবাদও দিয়েছে।
শোনা যাচ্ছিল, সমঝোতার শর্ত অনুযায়ী প্রিগোজিনকে বেলারুশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু লুকাশেঙ্কোর দাবি, প্রিগোজিন বেলারুশে নেই। রাশিয়াও বলছে, প্রিগোজিন কোথায় তারা জানে না আর জানতে চায়ও না। ফলে প্রিগোজিন ‘রহস্যমৃত্যুর শিকার’ হয়েছেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, গত ২৯ জুন প্রিগোজিন এবং ওয়াগনারের ইউনিট কমান্ডারসহ মোট ৩৫ জনকে বৈঠকে ডেকেছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তাদের সঙ্গে তিন ঘণ্টা আলাপ করেছেন তিনি। সেখানে ওয়াগনার কমান্ডাররা নাকি জানিয়েছেন, তারা পুতিনের সঙ্গেই ছিলেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন।
কিউএনবি/অনিমা/১১ জুলাই ২০২৩,/রাত ১১:০৭