ডেস্ক নিউজ : ক্রাশ প্রোগ্রামের তৃতীয় দিন সোমবারের (১০ জুলাই) অভিযান ছিল অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। কেননা, এদিনের অভিযান গুরুত্ব পায় বড় বড় সরকারি প্রতিষ্ঠান। উঠে আসে ভয়াবহ চিত্র। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে পরিচালিত অভিযানে দেখা যায়, বহুতল ভবনের বেজমেন্টের নিচে জমে থাকা পানিতে লাখ লাখ এডিসের লার্ভা। কোথাও গাড়ি ধোয়ার পর জমে থাকা পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এক একটি ভবন পরিণত হয়েছে মশা উৎপাদনের কারাখানায়। অথচ নির্বিকার সবাই।
অভিযানের শুরুতেই পেট্রোবাংলা ভবন, এরপর যমুনা অয়েলের নির্মাণাধীন ২০ তলা ভবন এবং টিসিবি ভবনে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অংশ নেন উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম। ধরা পড়ে মশার একের পর এক প্রজননক্ষেত্র। গত বছরও এসব ভবনেই এডিসের লার্ভার অস্তিত্ব পান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই পাঁচ লাখ করে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।সরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন উদাসীনতায় হতাশ মেয়র বলেন, মুখে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও এডিস নিয়ন্ত্রণে কেউ সহযোগিতা করছে না। এডিসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মশার অস্তিত্ব মিললেই করা হবে জেল-জরিমানা।’ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কঠোরভাবে সিটি করপোরেশনের অভিযান চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
কিউএনবি/আয়শা/১০ জুলাই ২০২৩,/বিকাল ৪:৫৫