আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার (১৯ জুন) বাইডেন এ মন্তব্য করেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সম্পর্ক বর্তমানে সঠিক পথেই রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, কেবল তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সর্বশেষ সফরের কারণেই এ সাফল্য অর্জিত হয়নি। তবে এ সফর বেশ ভূমিকা রেখেছে। ব্লিঙ্কেনের প্রশংসা করে বাইডেন বলেন, ‘তিনি দারুণ কাজ করেছেন।’এদিকে, ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ান বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ বিষয়ে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।’ তবে তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশন অফিসের পরিচালক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানান, ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের সম্পর্ক এখন একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। এখানে ওয়াশিংটনকে বাছাই করতে হবে তারা বেইজিংয়ের সঙ্গে সংলাপ নাকি সংঘাত চায়, সহযোগিতা নাকি দ্বন্দ্ব চায়।
ওয়াং ই ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আপস স্বীকার করার সুযোগ নেই।’ ওয়াং ই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সত্যিকার অর্থেই এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন দিতে হবে এবং চীনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। এছাড়া স্পষ্টভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে হবে।’
কিউএনবি/আয়শা/২০ জুন ২০২৩,/রাত ৮:৩৪