ডেস্ক নিউজ : মাদারীপুর শহরের পার্শ্ববর্তী ঘটমাঝি ইউনিয়নের ছয়না এলাকায় কুপিয়ে এক বিশোরের বাম হাত বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। কিশোরের নাম সাইফুল ইসলাম (১৫)। সে ওই এলাকার দুলাল ফকিরের ছেলে। এ সময় ফয়সাল ব্যাপারী নামের আরেক যুবক ওই কিশোরকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। রোববার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সাইফুল ও ফয়সাল ব্যাপারীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে কল পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় সাইফুল। বাসায় না ফেরায় পরে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। পরে পুকুর পাড়ে গিয়ে সাইফুল ও ফয়সালকে রক্তাক্ত ও সাইফুলের হাত ক্ষতবিক্ষত দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন তারা। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে এখানকার চিকিৎসকরা।
সাইফুল ইসলামের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, ‘সাইফুল আমার একমাত্র ভাই। আমরা গরিব। আব্বা আর ‘ও’ (সাইফুল) কাজ করে আমাদের সংসার চালায়। আমার ভাইয়ের হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। ওরা ভাইয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিল। ‘ও’ (সাইফুল) এখন কী করে খাবে, আর কীভাবে চলবে? যারা আমার ভাইয়ের এ অবস্থা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।’
আহত ফয়সালের ভাই রাসেল বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। সে কাজ করে খায়। সাইফুলকে বাঁচাতে গিয়ে সে হামলার শিকার হয়েছে। এই হামলা তাদের পরিকল্পিত। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ মাহমুদ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। অন্যজনের মাথা, হাত, পা, বুকসহ একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক তরুণের বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়েছে। তবে কেন হাত কেটে ফেলা হলো, সে বিষয়ে ওই তরুণ ও তার পরিবার কিছুই বলতে পারছে না। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
কিউএনবি/অনিমা/২০ জুন ২০২৩,/সকাল ৯:১৫