স্পোর্টস ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১২ বল শেষে নামের পাশে কোনো রানই ছিল না স্টোকসের। তবে পেসার স্কট কুগলায়েনকে টানা দুই চার মেরে রানের খাতা খোলার পর থেকেই খোলস থেকে বেরিয়ে আসেন ইংলিশ অধিনায়ক। এরপর মুখোমুখি হওয়া ২২তম বলটিতেই ফাইনলেগের ওপর দিয়ে ছয় মেরে রেকর্ডবুকে নাম লেখান স্টোকস।
কুগলায়েনকে মারা এই ছয়টি তার টেস্টে ক্যারিয়ারের ১০৮তম ছয়। এই ছয়েই তিনি ছাড়িয়ে গেলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। টেস্টে ইংলিশদের কোচের দায়িত্ব পালন করা ম্যাককালামের দখলেই এতোদিন ছিল লাল বলে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ডটি। ১০৭টি ছয় মেরে স্টকস আগেই বসেছিলেন তার পাশে। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে স্টোকস যখন ম্যাককালামের দেশের বিপক্ষে তারই রেকর্ড ভাঙছেন, সে সময়ে ড্রেসিংরুমে বসে তা দেখছিলেন তিনি।
১০৯ টি ছয় নিয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড এখন স্টোকসের দখলে। ১০১ টেস্টে ১০৭টি ছয় মেরে রেকর্ডটি এতোদিন নিজের দখলে রেখেছিলেন ম্যাককালাম। মাত্র ৯০ টেস্টেই তাকে ছাড়িয়ে গেলেন ইংলিশ দলপতি। টেস্টে ১০০ এর বেশি ছয় আছে আর একজনেরই। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটকিপার ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ৯৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে হাঁকিয়েছেন ১০০টি ছয়।
বর্তমানে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে স্টোকসের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। ৭৬টি ছয় মেরেছেন ৩৪ বছর বয়সী কিউই পেসার। এরপরই আছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৬৬) ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার (৬৪)। ৩৫ ও ৩৬ বছর বয়সী এই দুই ওপেনারের পক্ষে স্টোকসকে ছোঁয়া একরকম অসম্ভবই বলা চলে। তাই বলা যায় স্টোকসের এই রেকর্ডটি সহসাই ভাঙতে পারছেন না কেউ।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৩:৪৯