ডেস্ক নিউজ : বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, জানুয়ারিতে মাসিক কনজুমার প্রাইজ ইনডেক্স (সিপিআই) ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে শহর ও গ্রামের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। এদিকে খাদ্য ও জ্বালানি চড়া দাম বাদ দিয়ে হিসাব করা কোর মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়ে শহরে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশে এবং গ্রামে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশে।
২০২২ সালের জুন থেকেই পাকিস্তানের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে। ফলে দেশটির সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ব্রোকারেজ ফার্ম টপলাইন সিকিউরিটিজের সিইও মোহাম্মদ সোহেল বলেন, রুপির ব্যাপক দরপতন, ভর্তুকি সরিয়ে নেয়া এবং কর বাড়ানোর প্রভাব মূল্যস্ফীতির হারের ওপর পড়বে, এমনটাই আশা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এতে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৪ শতাংশে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৩ শতাংশ।’পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারিতে পচনশীল খাদ্যসামগ্রীর দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, যা ৬১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তার পরেই রয়েছে বিনোদন ও সংস্কৃতি (৪৪ দশমিক ১৪ শতাংশ)। অপচনশীল খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়েছে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ, পরিবহন খরচ ৩১ দশমিক ১ শতাংশ, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ও তামাক ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ৩১ দশমিক ১ শতাংশ, আসবাব ও গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ, বিবিধ পণ্য ও পরিষেবা ব্যয় ২৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ, পোশাক ও জুতার দাম ১৬ শতাংশ এবং শিক্ষায় বাড়তি গুনতে হচ্ছে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
খাদ্য খাতে যেসব পণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি, সেগুলো হলো: পেঁয়াজ, মুরগির মাংস, গমের চাল, গমের আটা, ছোলা, মুগডাল, ডাল, বেসন, সরিষার তেল, তাজা ফল, সয়াবিন তেল, দুধ, উদ্ভিজ্জ ঘি, টমেটো, মাছ, মসুর ডাল, মাংস, তাজা শাকসবজি, আলু ও চিনি। তবে এরই মধ্যে চড়া থাকা এ মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারি মাসে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, সম্প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটারে ৩৫ টাকা বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার।
এ ছাড়া দেশটি এই সংকটে জর্জরিত অর্থনীতিকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বেলআউট তহবিলের জন্য আলোচনা করছে। আর এ ঋণ কর্মসূচি সরকারকে বিদ্যুতের ওপর আরোপিত শুল্ক বাড়াতে বাধ্য করবে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
কিউএনবি/আয়শা/০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:৫০