ডেস্ক নিউজ : শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকায় আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ‘দুর্যোগকালীন টেলিযোগাযোগ খাত: পূর্ব ও পরবর্তী কৌশল ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরি করতে হবে। দুর্যোগের আগাম বার্তাটা দেয়ার ক্ষেত্রে টেলিকমিউনিকেশনটা প্রয়োজন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের অবহেলায় জলোচ্ছ্বাসে প্রায় দুই লাখ লোক মারা যান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় আসার পর ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২’ এবং এরপর ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০১৫’ করা হয়েছে। এ নীতিমালায় দুর্যোগ মোকাবেলার বিষয়ে সব কিছু বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবশেষ দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী বা এসওডি (সংশোধিত)- ২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে কার কি দায়িত্ব পালন করতে হবে, এসওডিতে পরিস্কার করে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি’র কমিশনার প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ, বিটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সেনাবাহিনীর সিগনাল পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, যেকোনো দুর্যোগে আমাদের এক্সচেঞ্জটা চালু রাখতে হবে। কারণ দুর্যোগের মধ্যে কমিনিউকেশনটা খুব জরুরি। তাই আমাদের জেনারেটর রুমটাকে সিল করতে হবে। দুর্যোগকালীন জেনারেটরের পাওয়ারটা ঠিক রাখতে হবে। এজন্য শক্তিশালী সোলার ব্যবস্থা রাখতে হবে। দুর্যোগকে মোকাবেলা করতে হলে ডিজিটালি করতে হবে। শুধু একা নয়; সম্মিলিতভাবে এটা মোকাবিলা করতে হবে বলেও জানান তারা।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ জানুয়ারী ২০২৩/সনধ্যা ৭:০৮