গাজী গিয়াস উদ্দিন বশির ঝালকাঠি : ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত ৮ জন ও অনেক যাত্রী হতাহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান গণমাধ্যমে কর্মরত অনেককে জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ২টার দিকে চাঁদপুর সদরের হরিনা এলাকায় মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে ঝালকাঠি টার্মিনাল থেকে ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ নামের একটি লঞ্চ এবং ঐ লঞ্চের চার কর্মীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সদরঘাট নৌ-পুলিশের ডিউটি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘন কুয়াশার কারনে এই সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি গতকাল রাত দুইটার পর হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিলো। ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সঙ্গে ওই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এমভি কর্ণফুলী-৯ এর মাধ্যমে জাকির সম্রাট-৩ এর যাত্রীদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি অংশ ঢাকায় দলের জনসভা থেকে ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ নামক লঞ্চে করে বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠি ফিরছিলেন। রাত ২টার দিকে হাইমচর এলাকা অতিক্রম করছিল। তখন দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।’
নিহতের নাম, পরিচয় এবং পরিসংখ্যা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চুরান্ত ভাবে জনতে পারেনি সংবাদ কর্মীরা। তবে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণমাধ্যম ঢাকা টাইমসের প্রকাশিত তথ্য বলছে নিহতের সংখ্যা ৮ জন। এ ঘটনায় আহতরা সবাই বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ ডিসেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:৫০