শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে  বিশেষ মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান। মাটিরাঙ্গায় পলাশপুর জোনের বিশেষ অভিযানে  ভারতীয় পিস্তল ও তাজা গুলি উদ্ধার। শিবিরের নতুন সভাপতি সাদ্দাম, সেক্রেটারি জেনারেল সিবগাতুল্লাহ কুষ্টিয়া সীমান্তে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশইনে বিজিবি’র বাঁধা : পতাকা বৈঠকে ফেরত ভারতের রাজনীতিতে বিজেপির কৌশল ও কংগ্রেসের বিপর্যয়: বাংলাদেশের বিএনপির জন্য শিক্ষণীয় ভারত থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়েছে ম্যান সিটির মালিকপক্ষ মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ: ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার-৯’ কর্মী আটক ৪ শহীদ ওসমান হাদীর স্মরণে রাঙ্গামাটিতে নওগাঁর পত্নীতলায় তৃণমূলে গণমানুষের নেতৃত্বে গড়ে উঠছে পুষ্টি সমৃদ্ধ গ্রাম বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

যেসব কারণে রাসুল (সা.) আজান দেননি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৪৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : হাদিসে আজানের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আজান ও প্রথম কাতারের মর্যাদা মানুষ যদি জানত আর লটারি ছাড়া সে সুযোগ তারা না পেত, তাহলে লটারি করত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৬৮৯)

কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোনো বর্ণনায় এমনটা পাওয়া যায় না যে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) আজান দিয়েছেন। এত এত ফজিলতপূর্ণ কাজ কেন নবী (সা.) জীবনে একবারও করেননি। সফর কিংবা বাড়িতে, সব জায়গায় অন্য সাহাবিরাই আজান দিয়েছেন। মুহাদ্দিসরা এর অনেক ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন।

দুই. রাসুলুল্লাহ (সা.) যদি আজান দিতেন, তাহলে সেখানে এই সম্ভাবনা থাকে যে অন্য কোনো নবীর ব্যাপারে তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন। কারণ আজানের শব্দের ভেতরে রয়েছে ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল।’

তিন. নিজে নিজের সাক্ষী হতে পারে না। সাক্ষ্য অন্যজন দেয়। নিজে নিজের সাক্ষী হতে পারে না। আর আজানের মধ্যে মুহাম্মদ (সা.) নবী হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য আছে। সে জন্য তিনি নিজে কখনো আজান দেননি।

পাঁচ. আজান হচ্ছে আমানত। আর এই আমানতের দায়িত্ব তিনি অন্যের কাছে সোপর্দ করেছেন, নিজের ওপর রাখেননি। হাদিসে এসেছে, আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইমাম হচ্ছেন জিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন (ওয়াক্তের) আমানতদার। হে আল্লাহ, ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করে দিন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫১৭)

ছয়. রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যেহেতু সর্বদা ব্যস্ত থাকতেন, এ জন্য তিনি আজানের দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। তেমনিভাবে খোলাফায়ে রাশেদিনও আজান দেননি। তারা সবাই ইমামতি করেছেন; কিন্তু কেউ আজান দেননি।

সাত. আল্লামা ইজ্জদ্দিন ইবনে আব্দুস সালাম বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যদি জীবনে একবার আজান দিতেন, তাহলে হয়তো রাসুলের কাছে এটা ধারাবাহিকভাবেই চাওয়া হতো যেন তিনি সর্বদা আজান দেন। কিন্তু অন্য দায়িত্বের পাশাপাশি রাসুলের পক্ষে সব সময় আজান দেওয়াটা সম্ভব নয়। তাই রাসুল (সা.) একবারও আজান দেননি যেন এটা তার জন্য অবধারিত না হয়ে যায়।

(আলজাজিরা ও আল-খালিজ ডট নেট অবলম্বনে)

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৬ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ১০:০৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit