বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পাঠ্যবই সংশোধনে দায়িত্ব অবহেলাকারীদের শাস্তির দাবিতে ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ

জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ।
  • Update Time : শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৮ Time View
জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : পাঠ্যবইয়ে চৌর্যবৃত্তি, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ইতিহাস বিকৃতর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। আজ ২১ জানুয়ারি (২০২৩) শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ  করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়েছে। এ সময় মিছিলকারীরা ‘পাঠ্যবইয়ে ভুল ইতিহাস, চলবে না, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, চলবে না, জাফর ইকবাল শিক্ষা চোর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 
সমাবেশে ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন,  “আওয়ামী লীগ খুব সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। দেশের অর্থনীতি, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ধ্বংসের পর ‘ভুল ইতিহাস, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ মূলক পাঠ্যবই’ প্রণয়ন করে শিক্ষা খাত ধ্বংস করছে। ৭ম শ্রেণীর “ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান” বইয়ের প্রচ্ছদে প্রতিবেশি দেশের জাতীয় পাখি ও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিক পদ্মফুল” ছেপেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ইতিহাস বইতে যে কঠিন ও দুর্ভেদ্য বিষয়বস্তু সংযোজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেগুলো প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাস বিভাগে স্নাতকে পড়ানো হয়। পাঠ্য বইয়ে ন্যাশনালজিওগ্রাফিক থেকে হুবহু কপি করে গুগল ট্রান্সলেশনে বসানো হয়েছে। যা ইতোমধ্যে জাফর ইকবাল দায় স্বীকার করেছেন। আমরা জাফর ইকবাল সহ দায়িত্বে থাকা সকল লেখকদের পদত্যাগ চাই এবং অতিদ্রুত পাঠ্যবই সংশোধন করে পুনরায় ছাপানোর দাবি জানাচ্ছি ” ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন,   “স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে এখন পাঠ্যবইয়েই ভুলের ছড়াছড়ি, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে এখন সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেই বিকৃতি, বঙ্গবন্ধুর চেতনার কথা বলে সেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসেই ভুল, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে এখন কোমলমতি শিশুদের পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িক বিশ বাষ্প ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এই সরকার। পাঠ্যপুস্তক লিখতে গিয়ে যারা চুরি করেছেন তাদের এটা নেহাত  ভুল নয় বরং অপরাধ।  চোর -ডাকাতদের যেমন শাস্তি হয়, তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বরেণ্য শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে স্মার্টলি চুরি করা হচ্ছে। মানুষের গোপন তথ্য চুরি করার জন্য স্পাই ওয়ার কেনা হয়েছে। এই দেশের কেউই এখন নিরাপদ না।২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে বলা হয়েছিলো ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়া হবে। এখন দেয়া হয়েছে বেকারত্ব। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন “কোটাই বাতিল”। কিন্তু এখনো ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির চাকুরীতে কোটা বৈষম্য রয়েছে। প্রাইমারী ও রেলওয়েরর পোষ্য কোটা,  চাকুরির আবেদন ফি এখন বেকারদের বিষফোঁড়া  । বলা হয়েছিলো চাকুরির বয়স বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু এই সরকার কথা দিয়ে কথা রাখেনি।  তরুণদের হাহাকার যদি তারা না বুঝতে পারেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য ভিনদেশী প্রভুদের কাছে যদি দেশের স্বাধীনতাকে ইজারা দেবার চিন্তা করেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মঞ্চের মতো আপনাদের ক্ষমতার তখত ও ভেঙ্গে পড়বে”। সমাবেশে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন রাসেল আহমেদ, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, মামুনুর রশীদ, আসিফ মাহমুদ, নেওয়াজ খান বাপ্পি, মারজিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২১ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit