আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ইউক্রেনজুড়ে একের পর এক মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের মাঠে নিজেদের দাপট ফেরাতে মরিয়া পুতিন প্রশাসন। অন্যদিকে ইউক্রেনে প্রচুর পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। কিয়েভের পশ্চিমা মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রক্সি (অন্যের হয়ে) যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ তুলছে মস্কো। অন্যদিকে সামরিক বাহিনীতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সেনা অধিনায়কদের বলেন যে, নৌ, বিমান এবং কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলার প্রয়োজন ছিল। সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করে ১৫ লাখে সম্প্রসারিত করে নিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আরও সৈন্যের নিয়োগ দেবে মস্কো।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই “বিশেষ সামরিক অভিযান” এগিয়ে নেয়াকে প্রাধান্য দেয়া হবে। অন্যদিকে গেলো মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এক বক্তৃতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে আরও ট্যাংক, সাজোয়া গাড়ি এবং গোলাবারুদ প্রয়োজন। অত্যন্ত দ্রুত তা ইউক্রেনের সেনার হাতে আসা দরকার। নইলে রাশিয়াকে আটকে রাখা যাবে না। মূলত পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং যুক্তরাজ্য দ্রুত অস্ত্র পাঠাতে চায় ইউক্রেনকে। কিন্তু তারা সকলেই তাকিয়ে আছে জার্মানির দিকে। একমাত্র জার্মানিই পারে এসব অস্ত্র ইউক্রেনে পৌঁছে দিতে।
কিউএনবি/আয়শা/১৯ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:৪২