আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুলগেরিয়ায় জন্ম হয় বাবা ভাঙ্গার। তিনি জন্ম থেকে দৃষ্টিহীন ছিলেন না। একবার বজ্রপাতের কারণে তার চোখের দৃষ্টি চলে যায়, আর সেই দুর্ঘটনাই তাকে ভবিষ্যৎ দেখতে পাওয়ার ক্ষমতা দান করে বলে দাবি বাবা ভাঙ্গার ভক্তদের। তার করা অনেক ভবিষ্যদ্বাণীই এখন পর্যন্ত সত্যি হয়েছে।
২০২৩ নিয়েও বেশ কিছু কথা বলে গেছেন তিনি। যদিও তা যে সুখবর বয়ে আনছে, এমনটা বলা যায় না। করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে ২০২২ সাল খানিকটা স্বস্তি বয়ে নিয়ে আসে। যদিও বছরের শেষভাগে এসে ফের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা গ্রাস করছে মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে, বাবা ভাঙ্গার কথাতেও লুকিয়ে আছে বিপর্যয়েরই ইশারা। তার মতে, প্রাকৃতিকভাবে ২০২৩-এ বহু আশ্চর্য ঘটনা ঘটবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পৃথিবীর কক্ষপথে পরিবর্তন। আপাতভাবে এ কথার গুরুত্ব হয়তো আমরা সেভাবে বুঝতে পারি না। তবে যদি তা হয়, তাহলে কিন্তু এর ফলে পৃথিবী বদলে যাবে অনেকটাই।
যে উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে এখনই সারা পৃথিবী ত্রস্ত, তা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে এর দরুন। তাতে পরিবর্তন আসবে জলস্তরেও, একইভাবে জনজীবনও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে। পৃথিবীর কক্ষপথের এই পরিবর্তনের কথাই বলে গেয়েছেন ভাঙ্গা বাবা। পাশাপাশি, তার অনুমান ২০২৩ সালে ‘সোলার সুনামি’ হতে পারে। প্রায় বিরল এ ঘটনা, প্রযুক্তির ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
শুধু তাই নয়, বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে আগামী বছরেই মানুষ শুক্রগ্রহ পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে অনেকটা এগিয়ে যাবে। আর ২০২৮-এর মধ্যে শুক্রগ্রহে মানুষ পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া জৈব অস্ত্রের ব্যবহারের ফলে পৃথিবী যে বিপদের মধ্যে পড়তে পারে এমনটাও ছিল তার অনুমান। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির দিকে চোখ রাখলে এমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেই মতো অনেকের।
কিউএনবি/আয়শা/৩০ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৫৮