আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেদনমতে, রিয়াদে সৌদি বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী খালিদ বিন আবদুলাজিজ আল ফালিহ ও দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যেসব বিষয়ে চুক্তি হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, গ্রিন হাইড্রোজেন, সৌরবিদ্যুৎ, তথ্যপ্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি, যোগাযোগ, পরিবহন, আবাসন, চিকিৎসা, পর্যটনসহ বেশ কয়েকটি খাত।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সৌদিতে পৌঁছান জিনপিং। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর এটি জিনপিংয়ের তৃতীয় বিদেশ সফর। আর মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চলের বৃহত্তম ও নেতৃস্থানীয় দেশটিতে এটি তার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৬ সালে সৌদি সফর করেন তিনি। সফরের শুরুতেই সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলাজিজ ও দেশটির যুবরাজ এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন জিনপিং। মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলসহ অন্যান্য অঞ্চলভুক্ত বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।
বিনিয়োগ চুক্তির পর সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ বিন আবদুলাজিজ আল ফালিহ বলেন, ‘সরকার সৌদির অর্থনীতি পুনর্গঠন ও সংস্কার করতে ভিশন ২০৩০ প্রকল্প নিয়েছে। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য জ্বালানি তেলের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতকে আরও উৎপাদনশীল ও শক্তিশালী করা।’দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর ক্ষেত্র রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগ, আবাসন, পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ প্রচুর খাত আমাদের আছে— যেগুলোতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। এসব খাতে আমরা অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও চাইছি।’
‘চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক বছরের। কিন্তু গত কয়েক বছরে সৌদি আরব ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। পাশাপাশি দুই দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যকার আস্থা ও অংশীদারত্বপূর্ণ মনোভাবও দৃঢ় হচ্ছে। তারই ফলাফল এসব (৩৪টি) চুক্তি।’
সৌদি সরকারের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে চীন ও সৌদির মধ্যে ৮ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। আর ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের। এদিকে সৌদি-চীন বিনিয়োগ চুক্তিতে খানিকটা উদ্বেগ বোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের দীর্ঘকালীন মিত্র একটি দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের এত বৃহৎ অর্থনৈতিক সমঝোতায় অসন্তোষও জানিয়েছে দেশটির সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি— বিশ্বজুড়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে চীন অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে উঠেছে।’
কিউএনবি/আয়শা/০৮ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:৪৪