ডেসক্ নিউজ : ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে নিজের পরিচয়পত্র (ক্রেডেন্সিয়াল) পেশ করেছেন বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন। হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর দিল্লি পৌঁছান মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের অফিসে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস দ্বারা আবদ্ধ এবং এই অনন্য মেলবন্ধন যৌথ আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছে। ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে মন্তব্য করেন ভারতে রাষ্ট্রপতি। এ সময় তিনি বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। একই সঙ্গে তিনি ঢাকায় ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর, মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের যৌথ উদযাপনের বিষয়টি আনন্দের সাথে স্মরণ করেন এবং দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চলমান রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। তিনি ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংঘটিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ও জনগণের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি সাম্প্রতিক কালের বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘প্রতিবেশী সম্পর্কের মডেল’ হিসেবে অভিহিত করেন। হাই কমিশনার আগামী দিনগুলোতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আর ও সম্প্রসারিত ও সুসংহত করতে প্রয়াস চালিয়ে যাবেন বলে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করেন।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:২৭