শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৭ Time View

ডেস্ক নিউজ : অর্থ-সম্পদ মহান আল্লাহর নিয়ামত। মহান আল্লাহ একে যত্রতত্র উড়িয়ে দেওয়ার অনুমতি দেননি। মানুষ প্রবৃত্তির নেশায় পড়ে আল্লাহর দেওয়া অর্থ-সম্পদ গুনাহের কাজে ব্যয় করে। বিলাসিতা, আমোদ-প্রমোদের নামে তারা অপব্যয়ের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে।

পবিত্র কোরআনে এ ধরনের অপব্যয়ের অসুস্থ প্রতিযোগিতার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অর্থ ব্যয়ে সীমা লঙ্ঘন করো না। আল্লাহ অপব্যয়কারীদের পছন্দ করেন না। ’ (আল আনআম, আয়াত : ১৪১) মহান আল্লাহর দেওয়া সম্পদ তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতিতেই খরচ করতে হবে। মহান আল্লাহর নির্দেশনা অমান্য করা তাঁর দেওয়া নিয়ামতের নাশোকরির শামিল। মুমিন কখনো এ রকম অকৃতজ্ঞতামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে পারে না। এ জন্য অপব্যয়কারীদের পবিত্র কোরআনে শয়তানের ভাই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘অপব্যয় করো না। অপব্যয়কারীরা শয়তানদের ভাই। আর শয়তান তার মনিবের চরম অকৃতজ্ঞ। ’ (বনী ইসরাঈল, আয়াত : ২৬-২৭)

এর মানে আবার এই নয় যে নিজেদের প্রয়োজনীয় যৌক্তিক কাজে খরচ করার ক্ষেত্রেও কৃপণতা করবে, নিজেদের যৌক্তিক খরচের ক্ষেত্রে কৃপণতা করার সুযোগ নেই। আবার অতি উৎসাহী হয়ে খরচে সীমালঙ্ঘন করারও সুযোগ নেই। সব ক্ষেত্রেই মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে।

কোরআনের দৃষ্টিতে মানুষের সঠিক কর্মনীতি হলো এই যে সে নিজের জন্য এবং নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করবে। তার অর্থসম্পদের ওপর তার নিজের এবং তার সঙ্গে যারা সম্পর্কিত তাদের অধিকার রয়েছে। এই অধিকার প্রদান করতেই অন্যদের বঞ্চিত করে সব অর্থসম্পদ উজাড় করে দেওয়াও যাবে না।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর নিজের হাতকে (কৃপণতা করে) গলায় বেঁধে রেখো না, আবার সম্পূর্ণ প্রসারিতও করে দিয়ো না। এমনটি করলে তোমরা তিরস্কৃত হবে এবং খালি হাতে বসে পড়বে। ’ (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৯)

অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘(এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই) যারা ব্যয় করার ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘনও করে না, আবার কৃপণতাও করে না; বরং তারা উভয় চরম পন্থার মধ্যবর্তী অবস্থান করে। ’ (সুরা ফুরকান, আয়াত : ৬৭)

আমরা বিভিন্ন মৌসুমি উন্মাদনায় পড়ে যে পরিমাণ অর্থ-সম্পদ নষ্ট করি, তা যদি আমরা সৃষ্টির সেবায় ব্যয় করতাম, তবে তা আমাদের ইহকাল-পরকালের বরকত ও রহমতের ভাগিদার করত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির প্রতি দয়ালু হওয়ার আদেশ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাকে যে অর্থসম্পদ দান করেছেন, তার মাধ্যমে পরকালের ঘর অন্বেষণ করো। তবে তোমার পার্থিব অংশের কথাও ভুলে যেয়ো না। আর (আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি) অনুগ্রহ করো, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। (অর্থসম্পদ দ্বারা) পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টির চেষ্টা করো না। ’ (সুরা কাসাস, আয়াত :৭৭)

এই আয়াতে মহান আল্লাহ মানুষকে নিজেদের সম্পদ এমন জায়গায় ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে ব্যয় করা মহান আল্লাহ পছন্দ করেন। তবে ব্যয় করতে গিয়ে এমন পর্যায়ে যেতে বারণ করেছেন, যে নিজেকে ও পরিবারকে অন্যের কাছে হাত পাততে হবে। এবং সম্পদ পেয়ে তার অপব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এগুলো জীবনে বিপর্যয় নামিয়ে আনে।

মহান আল্লাহ আমাদের সুবুদ্ধি দান করুন। অপব্যয় থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৪ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit