স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : সকলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক দুইবারের জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান নজমুস সাদত। শনিবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তিকাল করেন(ইন্নালিল্লাহী——রাজেউন)। মাত্র ৫৭ বছর বয়সী নজমুস সাদত মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন মেয়ে, পিতা-মাতা, পাঁচ ভাই-বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হাজারো মুসল্লিদের অংশগ্রহনে দুই দফা জানাজা শেষে শনিবার বিকেলে বালিধা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ জেলা বিএনপির নেতবৃন্দ।
জানাযায়, নজমুস সাদত দীর্ঘদিন ধরে হৃদসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারী ইউনিটে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে ১০ টা ১৫ মিনিটে তিনি ইন্তিকাল করেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পাঁচাকড়ি বাজারের বাসভবনে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গকে সান্তনা দেন। শুধু শহীদ ইকবাল নয়, তার মৃত্যুর খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আকতার, নেহালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধি, সামাজিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীক, পেশাজীবীসহ ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুরুপভাবে তার বাসভবনে গিয়ে শোক জ্ঞাপন করেন। নজমুস সাদত ছিলেন এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়।
ফলে তার মৃত্যুতে দলমত, ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সর্বস্তরের হাজরো মানুষের ভীড় হয় তাকে শেষবার শ্রদ্ধা জানাতে। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিকেল সাড়ে তিনটায় পাঁচাকড়ি হাইস্কুল মাঠে প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার নিজ গ্রাম বালিধা গ্রামের দক্ষিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। এতেও হাজারো মুসল্লি অংশ গ্রহন করেন। এ সময় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ ইকবাল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান খান, মোহাম্মদ মুছা, পৌর বিএনপির আহবায়ক খায়রুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হাই, অ্যাডভোকেট মকবুল ইসলাম, নিস্তার ফারুক, আসাদুজ্জামান মিন্টু, জেলা জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক,নেহালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসাইন, সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, দূর্বাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মাযহারুল আনোয়ার, মনোহরনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আকতার ফারুক মিন্টু, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান, আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রমুখ।
দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবকরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে নজমুস সাদতকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে আগামী শুক্রবার বিকেলে পাঁচাকড়ি বাজারে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের ঘোষনা দিয়েছেন নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপি।নজমুস সাদতের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য বালিধা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আমির আলীর ছয় ছেলে মেয়ের মধ্যে নজমুস সাদত ছিলেন সবার বড়। নজমু ২০১১ এবং ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ইতিপূর্বে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি গতমাসে নির্বাচনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন ।
কিউএনবি/অনিমা/২৪.০৯.২০২২/রাত ৮.৫৭