আশিক ইসলাম, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি :মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি জাতিসংঘের নিবন্ধিত শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য নতুন ট্র্যাকিং রিফিউজি ইনফরমেশন সিস্টেম (টিআরআইএস) বাধ্যতামূলক ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে নতুন এই সরকারি ট্র্যাকিং সিস্টেমকে ‘ফাঁদ’ উল্লেখ করে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ায় আইনগত মর্যাদা বা সুরক্ষা নেই এমন শরণার্থীরা।
মালয়েশিয়া সরকারের ট্র্যাকিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য কী?
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত শরণার্থীদের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য গত ২২ জুলাই অনুমোদন পায় এই ট্র্যাকিং রিফিউজি ইনফরমেশন সিস্টেম। সিস্টেমটিতে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক বলে জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা এবং শরণার্থীরা কর্মসংস্থানের উদ্দেশে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ট্র্যাকিং রিফিউজি ইনফরমেশন সিস্টেম’ ব্যবহার করা হবে।
হামজাহ জয়নুদিন বলেন, মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার শরণার্থী রয়েছে যারা মিয়ানমার, সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পালিয়ে এসেছে। টিআরআইএস-এর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সিস্টেমের উদ্দেশ্য হলো মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে সরকারকে সহায়তা করা। দেশটিতে শরণার্থীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা সরকারের ওপর চাপ ফেলবে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় আসা ২৩ হাজারের বেশি চীন সম্প্রদায়ের মানুষ মালয়েশিয়ার এই ট্র্যাকিং রিফিউজি ইনফরমেশন সিস্টেমের (টিআরআইএস) নিন্দা জানিয়েছে। গ্রুপটির প্রতিনিধি জেমস বাউয়ি থাং বিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানান, ট্র্যাকিং রিফিউজি ইনফরমেশন সিস্টেমটি একটি ‘ফাঁদ’। কারণ এর মাধ্যমে সংগৃহীত সব তথ্য শরণার্থীদের সম্মতি ছাড়াই সরকারের কাছে চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (মালয়েশিয়া সরকার) যদি শরণার্থীদের সমাজের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে, তাহলে যে অপরাধগুলো শরণার্থীদের মাধ্যমেসংঘটিত হয় না সেগুলোর কী হবে?’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শরণার্থীরা তাদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। হুমকি হিসেবে নয়, তাদের এমন একটি দল হিসেবে দেখা উচিত যারা মালয়েশিয়ার উন্নয়নে অবদান রাখছে।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:২৫