সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

শরীয়তপুরে আইনী জটিলতায় নষ্ট হচ্ছে আলামত মামলা দ্রুত নিস্পত্তিতে আদালতের চেষ্টা

খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি ।
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
  • ১৫৩ Time View

খোরশেদ আলম বাবুল  শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের বিভিন্ন থানায় ও আদালতের মালখানায় জব্দ রয়েছে বিভিন্ন মামলার আলামত। মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায় ও নিস্পত্তি হওয়া মামলার আলামত বিভিন্ন জটিলতার কারণে মালখানায় নষ্ট হচ্ছে। পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রসিকিউটরের সহায়তায় দ্রুততম সময়ে মামলা নিস্পত্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে আদালত। অল্প সময়ের মধ্যে মামলার জট কাটিয়ে সমস্যা সমাধান করতে আদালত আশাবাদী।

শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারী থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১ হাজার ৭৭২টি মামলা নিস্পত্তি করেছেন। মে মাসে আরো ১২৫টি মামলা নিস্পত্তি হয়। বর্তমানে এই আদালতে ৩ হাজার ৪৬৮টি মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। মামলা ট্রাইলের চাইতে নিস্পত্তি বেশী করতে জন্য পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রসিকিউটরের সহায়তা কামনা করেছেন আদালতের বিচারক।

সখিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ জানায়, ২০০৯ সালে জিডিমূলে জব্দ হওয়া আলামত থানা মালখানায় জমা আছে। অপরাধী আদালতে ১০০ টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পায়। অথচ অদ্যবধি আলামত ধ্বংস করা হয়নি। ২০০৮ সাল থেকে মোটরসাইকেল জব্দ রয়েয়ে থানা মালখানায়। ২০১২ সালে জব্দকৃত ডিজেলও রয়েছে। হয়তো এইসব এখন বিস্ফোরক হয়ে গেছে। এই সকল মামলা নিস্পত্তি হয়েছে তার আদেশ নামাও আমাদের কাছে রয়েছে। এখন আলামত ধ্বংস করা দরকার।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালতের মালখানা জরাজীর্ণ। এখানে অনেক পুরোনো আলামত রয়েছে। আলামত হিসেবে জব্দকরা অনেক টাকা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নষ্ট টাকা বদল করে এনেছি। অনেক আলামত আছে যা মালখানায় রাখা যায় না যেমন মোটরসাইকেল, অটোবাইক, নছিমন, ইত্যাদি। তা মালখানার বাইরে খোলা জায়গায় রাখা হয়েছে। সেইগুলো রোদে বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে। আলামত হেফাজতের জন্য একটা নতুন মালখানার প্রয়োজন।

শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান বলেছেন, মামলা জট কমিয়ে আনতে নিস্পত্তির সংখ্যা বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশ, ডাক্তার ও প্রসিকিউটরদের সহায়তা প্রয়োজন। যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ, বিভিন্ন প্রকার পরোয়ানা সমূহ তামিল মামলার নিস্পত্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ও মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রেরণের ক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের কলাম গুলো স্পস্ট অক্ষরে বা প্রয়োজনে টাইপ করে পূরণ করতে হবে। এই ধরনের মামলা সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত যায়।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ কর্তৃক হাজিরকৃত সাক্ষি আদালতে উপস্থাপন করার জন্য প্রসিকিউটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। নিস্পত্তি হওয়া মামলার বেশকিছু নথি আদালতে এসেছে। যার আলামত ধ্বংস করা যাবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা ধ্বংস করা সম্ভব হবে। যে সকল আলামত ধ্বংস করা সম্ভব বাছাই করে তার ধ্বংস কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৯ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit