বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর পানি কিছুটা কমলেও বেড়েছে তিতাস নদীর পানি। এতে করে পানি বন্দি হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। মঙ্গলবার(২৮ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায় পৌর শহরের খরমপুর সওদাগর পাড়া,খালাজোড়া, নারায়নপুর, রেলওয়ে পশ্চিম কলোনির রূপনগর, শান্তি নগর, বড় বাজার ও উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মুড়ির বাড়ি এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পানি বৃদ্ধিতে এসব গ্রামের ফলসি জমি ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বন্যায় পানিবন্দি এসব মানুষের অভিযোগ গত ১ সপ্তাহ ধরে তারা দুর্ভোগের শিকার হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা কোনো সরকারি সাহায্য- সহযোগিতা পাননি। উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের মুড়ির বাড়ি এলাকার নূর ইসলাম বলেন, বন্যার পানিতে খুব অসহায় অবস্থায় আছি। বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে আমরা কেনো ধরনের সহায়তা পাইনি। পৌরসভার শান্তিনগর গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। বাড়ির উঠানে পানি।বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। থাকার ঘর বাথরুম, রান্নাঘরে পানি। ঘরের ভেতরে কোনো রকম রান্না করে খেয়ে বেঁচে আছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজ খবর রাখছি। এ পর্যন্ত ১৩৭ টি পরিবার পানিবন্দি আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সবাই ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য না। যাচাই-বাছাই করে যারা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে খুব শীঘ্রই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২৯.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:০৯