বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি ৭ দিন থেকে মুড়ি-বিস্কুট খেয়ে দিন পার করছে 

রাশিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ।
  • Update Time : শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২
  • ৯১ Time View

রাশিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বানভাসিদের বেড়েছে দুর্ভোগ। ১৫দিন থেকে প্রতিটি ঘর পানিবন্দি থাকায় সীমাহীন কষ্ট বেড়েছে তাদের। নিজেদের ঘরে থাকা চাল-ডাল ফুরিয়ে টানা সাত দিন থেকে ত্রাণের বিস্কুট, মুড়ি ও চিড়া খেয়ে দিনাতিপাত করছে এসব মানুষ। পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে খামারিরা। দেড় হাজার পুকুর-খামারের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীদের ক্ষতির পরিমাণ দাড়িয়ছে ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। ১৫ হাজার ৮৫১ হেক্টর জমির ফসল এখন পানির নিচে। চরম মানবিক বিপর্যয়ে পতিত হয়েছে পানিবন্দি মানুষ।

এ পরিস্থিতিতে কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৮৫টি মেডিকেল টিম, ৯ উপজেলায় একটি করে মনিটরিং টিম এবং সিভিল সার্জন অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলার কথা বললেও বাস্তবে গঠিত মেডিকেল টিমগুলো সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে না পানিবন্দি মানুষ। সেই সাথে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ১৮টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম গঠন করা এর সুফল পাচ্ছে না খামারিরা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, পর্যান্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। উপজেলাগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী বন্যা আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সরকারি সহযোগিতা দেয়া।

এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৭৪২টি পুকুরের ৭০৫ জন মৎস্য চাষির ১১৫ মেটিক টন মাছ ভেসে গেছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন, গো-চারণভূমি, খড় ও দানাদার শষ্য তলিয়ে যাওয়ায় ১১ লাখ ৫২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ২৪টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এছাড়া আজ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডা: মো: জসিম উদ্দিন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

খামারবাড়ির উপপরিচালক মো. আব্দুর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত বন্যায় ১৫ হাজার ৮৫১ হেক্টর জরিম ফসল তলিয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কর্মকর্তারা পরামর্শ দেওয়াসহ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ জানান, বন্যার্তদের সহয়োগিতায় জেলায় মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ৮৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৯ উপজেলায় ৯টি মনিটরিং টিম কাজ করছে। তবে হাসপাতালগুলোতে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সাধ্যানুযায়ী বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, কলেরা স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে নিয়োজিত টিমগুলো।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৫.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit