খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে রফিকুল ফকির নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগে উল্লেখ করেছেন এই এসআই মহিলা-মহিলা ধস্তাধস্তি ও কামড়াকামড়ির ঘটনার মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে আসামী পক্ষের থেকে টাকা গ্রহন করেন। পরবর্তীতে বাদী পক্ষে প্রভাবিত হয়ে কাল্পনিক ঘটনার চর্জশীট আদালতে দাখিল করেন। অভিযুক্ত এসআই অভিযোগ অস্বীকার করে সত্য চার্জশীট দালিক করেছেন বলে দাবী করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানাগেছে, থানার সম্ভুকটি গ্রামের খবির উদ্দিন ফকির ও জাকির দেওয়ান একই এলাকায় পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করে। একটি সেলুনে নরসুন্দরের কাজের পাশাপাশি মাদক সেবন ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত জাকির দেওয়ান। জাকিরের বাড়িতে প্রতিদিনই মাদকের আড্ডা বসে। মাদক সেবন শেষে মাতাল হয়ে উন্মাদের মতো আচরণ করেন মাদক সেবীরা। প্রতিবেশী খবির ফকিরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে থাকায় লজ্জায় পড়তে হয় খবির দম্পতির। মাদক সেবীদের রঙ্গলীলা আড়াল করতে টিন দিয়ে নিজ বাড়ির সীমানা প্রাচীর তৈরী করেছেন এই দম্পতি। তবুও শেষ রক্ষা হয় না খবিরের পরিবারের। গত ১২ মার্চ সন্ধ্যায় মাদকের আড্ডা শেষে হলে খবিরের স্ত্রী আমেনা বেগম জাকিরের বাড়িতে গিয়ে মাদকের আড্ডা বন্ধের জন্য অনুরোধ করে। সেখানে মাদক সেবী জাকিরের স্ত্রী আকলিমার সাথে আমেনার কথা কাটাকাটি ও ধস্তধিস্তি হয়।
এক পর্যায়ে উভয় উভয়কে কামড়ে দেয়। এই ঘটনায় ১৩ মার্চ রাতে ডামুড্যা থানায় দন্ড বিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রফিকুল ফকিরকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটন করে চার্জশীট দেওয়ার জন্য দরখাস্তকারীর (মামলার প্রধান আসামী) কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। অবশেষে তিনি এজাহার অনুকরণ করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে আসামী পক্ষ মিথ্যা মামলায় ফেঁসে যায়। ইতোমধ্যে তারা দীর্ঘ হাজত বাসের পরে হাই কোর্ট থেকে জামিন লাভ করে।
দরখাস্তকারী রফিকুল ফকির জানায়, এলাকায় জাকির মোল্যা, দাদন মোল্যা, হাবিব দেওয়ান, রোকন দেওয়ান, হাসান দেওয়ান, রফিক ফকির ও আবুল বেপারীদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তাই তারা জাকির দেওয়ানের স্ত্রীর সাথে আমেনা বেগমের ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছে। মামলা হওয়ার পরে আমাদের প্রস্তাব করেছে জমির মামলা তুলে নিলে তারা এই মিথ্যা মামলা তুলে নিবে। তদন্ত কর্মকর্তাকে টাকা দেওয়ার পরেও অনেক বার হাত-পায়ে ধরে বলেছি আপনি সঠিক তদন্ত করেন।
সে শুধু বলে আমাকে এজাহার দৃষ্টে চার্জশীট দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব ফোন করেছে। আমার চাকুরি বাচাতে হলে সচিবের কথা রাখতে হবে। এস আই মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, এই বিষয়ে দুইটি মামরা হয়েছে। তদন্ত করে একটি মামলার সত্যতা পেয়ে চার্জশীট দিয়েছি। অপরটি মিথ্যা বলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। টাকা নেওয়া বা মিথ্যা চার্জশীট দেওয়ার অভিযোগ সত্য না।
কিউএনবি/আয়শা/১০.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:০০