স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : অগ্নিদগ্ধ অগ্নিযোদ্ধা মনিরামপুরের গাউসুল আযমের শারিরীক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনষ্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গাউসুল আযম। ধিরে ধিরে শারিরীক উন্নতির বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিশ্চিত করেন ঢাকা থেকে তার পিতা আজগার আলী। এ দিকে গতকাল বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনষ্টিটিউটে গাউসুলকে দেখতে যান।
জানাযায়, উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগার আলীর একমাত্র ছেলে গাউসুল আজম ফায়ারম্যান(অগ্নিযোদ্ধা) হিসেবে ২০১৮ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তার কর্মস্থল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানা। তবে ৬ মাসের ডেপুটেশনে কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে।শনিবার রাত ৮টার দিকে যখন চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতেই সেখানে ছুটে যান ছায় মাস বয়সী একমাত্র সন্তানের জনক গাউসুল আযমসহ তার সহকর্মীরা। সেখানেই তার গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। এতে তার সহকর্মীদের মৃত্যু ঘটলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান গাউসুল আজম। তবে তার শরীরের ৭৫ ভাগ অগ্নিদগ্ধ হয়। রাতেই তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনষ্টিটিউটে আনা হয়।সেখানে আইসিইউতে গাউসুল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তার শারিরীক অবস্থা ধিরে ধিরে উন্নতি হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য আইসিইউতে গিয়ে গাউসুলের চিকিৎসার খোজখবর নেন এবং তার সাথে কথা বলেন। সেখান থেকে বিষয়টি গাউসুলের ভগ্নিপতি বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমান গোপালপুর বাজারের পল্লী চিকিৎসক আতিউর রহমানকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য অগ্নিযোদ্ধা গাউসুল আযম ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য মনিরামপুরের দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা।
কিউএনবি/অনিমা/০৭.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ১০:৫২