একুশে পদক
—————
দিব্য পিএইচডি করতে যাওয়ার আগে আমাদের একবার বেড়াতে নিয়ে যেতে যায়। আমরা ঠিক করেছি থাইল্যান্ডেই যাব। এদিকে পাসপোর্টের মেয়াদ প্রায় শেষ। সুতরাং নতুন পাসপোর্টের জন্য চেষ্টা। অনলাইনে ফরম ফিল আপ, ৬৪ পৃষ্ঠা আর ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট এক্সপ্রেস গতিতে পাওয়ার জন্য টাকা জমা দেওয়া। ডেট পেলাম জুলাইয়ে।
অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ একজনকে বললে, তিনি কিছু কাগজের হার্ডকপির ছবি তুলে পাঠাতে বললেন। একদিন পর ডাক এলো। ছবি তুলে আর আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে আসা হলো। মাঝখানে একটা দিন গেল। তারপর মেসেজ, ইমেইল, ফোন সবই এলো, আপনার পাসপোর্ট প্রস্তুত আছে। সংগ্রহ করুন। … করলাম।
আমাদের আবেদনপত্রের হার্ডকপির ওপর লিখে দেওয়া হয়েছিল, ভি আই পি।
কেন ভি আই পি? অমায়িক ও আন্তরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মুচকি হেসে বলেছিলেন, একুশে পদক পেয়েছেন না? না পেলেও নাতি নাতনিদের বলতাম, আপনার পাসপোর্ট করে দিয়েছি।
মৃত্যুর পর পত্রিকায় খবর বেরুলে লেখা হয়, একুশে পদকপ্রাপ্ত অমুক .। এ ছাড়া একুশে পদকের আর কোনও ব্যবহার আছে, জানা ছিল না।
লেখকঃ মঈনুল আহসান সাবের (জন্ম ২৬ মে ১৯৫৮) একজন প্রথিতযশা বাংলাদেশি সাহিত্যিক। তিনি একুশে পদক লাভ করেছিলেন। মঈনুল আহসান সাবের এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে এই পোস্টটি সংগৃহিত।
কিউএনবি/বিপুল/০২.০৬.২০২২/দুপুর ২.১৩